এবিপিতকমা-র অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে ১৪ জন দুঃস্থ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী সাহায্য করলেন তরুণ কান্তি মন্ডল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৫শে এপ্রিল ২০২০ : বিশ্বে করোনা জীবানুতে অসংখ্য মানুষ দিশাহারা হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এই মুহুর্তে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮,৭৪,৬৬০ জন এবং মারা গেছেন ২,০০,৮১২ মানুষ।মৃতের প্রথম তালিকায় রয়েছে আমেরিকা ৫২,৯৩৬, ইতালি ২৬,৩৮৪, স্পেন ২২,৯০২, ফ্রান্স ২২,২৪৫, ইংল্যান্ড ২০,৩১৯, অনেক পিছনে আছে বেলজিয়াম ৬৯১৭, জার্মানি ৫৮০৫, ইরান ৫৬৫০, চীন ৪৬৩২, নেদারল্যান্ড ৪৪০৯ কিন্তু ভারতের ১ কোটি ৩০ লাখের দেশ হয়েও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫,০০০ আর মৃতের সংখ্যা ৭৮০। এটা অনেকেই মানতে রাজি নয়। কিন্তু ভারতে মোট আক্রান্ত ২৪,৯৪২ যেখানে পশ্চিমবঙ্গের আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭১ আর মহারাষ্ট্রের আকান্ত ৬৮১৭, গুজরাত ২৮১৫, দিল্লি ২৫১৪, মধ্যপ্রদেশ ১৯৫২, তামিলনাডু ১৭৫৫, অন্ধ্রপ্রদেশ ১০৬১।
এমন অবস্থায় সারা দেশ লকডাউনের আওতায় থাকার ফলে মানুষের রুজি রোজগার উঠেছে মাথায়। মানুষ গৃহবন্দি থাকার ফলে বহু পরিবারের ঘরে খাদ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। আর এই আশঙ্কায় সারা রাজ্যে মানুষকে খাদ্য তুলে দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সহ তাঁর গোটা দল। একইভাবে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল তাঁর ওয়ার্ডে পৌরসভা থেকে দেওয়া ৮ বস্তা চাল ও ৫ বস্তা আলু বিতরণ হয়েছে প্রথম পর্যায়ে। কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা হয় নি কারণ এই ওয়ার্ডের বসবাস করছেন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ যাদের সবাই ওয়ার্ডের ভোটার নয় ঠিকই কিন্তু তাঁরা এই ওয়ার্দের বাসিন্দা। অবশেষে পৌরপিতা নিজের উদ্যোগে প্রায় ২৫০০ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। আমাদের এবিপিতকমা-র পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ জন দুঃস্থ মানুষের খাদ্য সামগ্রীর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। এই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল চাল, আলু এবং ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেন। তবে তাঁকে উপস্থিত থেকে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করতে তিনি নিজে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার উপস্থিত হন নি বরং তিনি আমার উপর ভরসা করে তুলে দিতে বলেন। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি ও রতন দাস ১৫ জন পরিবারকে তুলে দিই তাঁর দেওয়া খাদ্য সামগ্রী।
এব্যাপারে পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, আমি এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে নিজেকে হিরো বলতে রাজি নই। আমি মানুষের পাশে ছিলাম, আগামীদিনেও থাকবো। আমি মানুষের বিপদের সময় পাশে থাকাটা বেশি জরুরি বলে মনে করি। আমি ইতিমধ্যে নবশ্রী বাজার, নবগ্রাম, বিশ্ববানী, বিবেকানন্দ নগর, সোনাপোঁতা এলাকায় দুঃস্থ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।আমি কোথাও ক্যাম্প করে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিই নি, আমি নিজে সকলের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী হাতে তুলে দিই।যদি লকডাউন ৩রা মে-র পর সময়সীমা বাড়ে তখন সকলের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করবো কারণ আমার ওয়ার্ডে প্রচুর গরীব মানুষের যেমন বাস তেমনই ভাড়াটেদের বাস যাদের অনেকের এখানে ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড আছে। কিন্তু যাদের নেই তাঁরা তো রেশনটাও পাচ্ছে না। তাদের কথা চিন্তা করে এই ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।