লকডাউনে অসহায় বাস শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন নরেন্দ্রপুর টাউনের তৃণমূল সভাপতি গোপাল দাস
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৮ই মে ২০২০ : ২২শে মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে গোটা দেশে কিন্তু দফায় দফায় সেই লকডাউন পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে বেড়েই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী একসময় দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করেছিলেন ১৬ই মে-র পর দেশে আর কেউ করোনায় আক্রান্ত হবে না যেন তিনি কোন ম্যাজিক বলে তা করে ফেলবেন। কিন্তু ১৬ই মে-র পর দেখা গেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে হল ১ লাখ ৩৪০। আর এই লকডাউনের মধ্যে পরিবহণ একেবারেরই স্তব্ধ। কিন্তু বাস শ্রমিকরা কি করবে। বাস না চললে তাদের রোজগার নেই কারণ তাদের তো কোন মাসিক বেতন নেই। তাই রোজগার নেই মানে ঘরে খাদ্য কেনার পয়সাও নেই।
এবার তাদের সামনে একটাই রাস্তা অভুক্ত অবস্থায় পরিবার নিয়ে দিন কাটানো, আর অভুক্ত থেকে দিন কাটানো মানেই অনাহারে মৃত্যু। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজ্যে কেউ অভুক্ত থাকবে না। তাই তিনি শুধু কমপক্ষে ৫ কেজি কার্ড পিছু ঘোষণা করেছেন। তবে কি সকলে চাল খেয়েই থাকবে? প্রশ্ন অনেকের। এবার যখন ৫৫দিন লকডাউন হয়ে গেছে তখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন না কেন্দ্র আর না রাজ্য সাধারণ মানুষের অসহায় পরিস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। রাজ্য আর কেন্দ্রের টানাপড়েনে সাধারণ মানুষ মরছে। যদিও সরকারি বাস চালু হচ্ছে কিন্তু বেসরকারি বাস চালু হওয়ায় দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বাড়তি ভাড়া নিয়ে রাজ্যে সরকারের সাথে বাস মালিকদের মতভেদ দেখা দিয়েছে।
এই অবস্থায় নরেন্দ্রপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল দাস ২২৮ নং বাস রুটের বাস শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি নরেন্দ্রপুরে ২২৮ নং বাস রুটের শ্রমিক ইউনিয়েনের কার্যালয় থেকে সকলকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন যাতে তাঁরা কিছুদিন হলেও কম বেশি খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। গোপাল দাস এছাড়াও নিজের ২৮ নং ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরাসরি বাসিন্দাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এই ওয়ার্ডের পৌরমাতা নমিতা দাসও ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথে মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন। কিন্তু এভাবে আর ক’দিন চলবে সকলের অজানা। অজানা ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কের সাথে লড়াই করে বাঁচতে হচ্ছে সকলকে। এর পরিনাম কারও জানা নেই।
Follow us at : www.facebook.com/abptakmaa.newspaper/
www.twitter.com/abptakmaa