প্রথম পাতা

রাজপুর সোনারপুরে ১৮ নং ওয়ার্ডে “মানুষ মানুষের পাশে” নিরলস ভাবে ৭০০ জন অসহায় মানুষকে লকডাউনে প্রতিদিন কমিউনিটি কিচেন থেকে খাবার সরবরাহ করছে

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৮ই মে ২০২০ : করোনার থাবা দেশ ভারতবর্ষকে কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ জানে না। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সকলের পাশে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, বাঁচতে হবে।বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্ত ১ লাখ ৩৪০ জন আর এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ২৬৭৭ যেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৩৮ জনের।এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর নির্দেশে ও সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সকলের অভিভাবক অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে , রাজপুর – সোনারপুর পুরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস, তৃণমূল যুব কংগ্রেস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, জয় হিন্দ বাহিনী ও মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা একত্রিত হয়ে এবং এলাকার কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের সহযোগিতায় বিগত ৭ ই এপ্রিল থেকে ” মানুষ – মানুষের – পাশে ” নামক একটি মঞ্চ গঠিত হয় এই ওয়ার্ডে । এই মঞ্চের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ওয়ার্ডের করোনা মহামারীর ফলে কাজ হারানো মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া। এই ভাবনাকে নিয়ে তাঁরা শুরু করেছে কমিউনিটি কিচেন যা অনেক আগেই সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় শুরু করে শেষ করে দিয়েছেন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। তাঁর এই উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে ৩১ নং ওয়ার্ড, ৩২ নং ওয়ার্ড, ৩৫ নং ওয়ার্ড ও কামরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত শুরু করেছে কমিউনিটি কিচেন।এবার সেই কমিউনিটি কিচেন এখন সোনারপুর দক্ষিণের ১৮ নং ওয়ার্ডে।

প্রতিদিন ৬৫০ – ৭০০ মানুষের রান্নাকরা খাবার নিরলস ভাবে লকডাউনের শেষদিন পর্যন্ত সরবরাহ করাই ছিল যার মূল উদ্দেশ্য।তাদের এই কমিউনিটি কিচেনের ভাবনাকে যারা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা হলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান ডাঃ পল্লব দাস,পুরসভার সি.আই.সি অমিতাভ চৌধুরী (পিট্টু) ও সোনারপুর থানার আধিকারিকগণ ও বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপায়ন দত্ত, বাপ্পা দেবনাথ, জয় দে, অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, কৃষ্ণ বর্ধনের মত অনেক নতুন প্রজন্ম।বিভিন্ন সময়ে তাঁরা উপস্থিত হয়ে মনোবল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছেন।এই সদস্যরা আশা রাখে, সকলের সম্মিলিত চেষ্টা এই বিশ্ব-মহামারীকে পরাজিত করবে ও এলাকার কাজ হারানো মানুষের আস্থার পাত্র ও বিপদের বন্ধু হয়ে উঠতে পারবে এই “মানুষ-মানুষের-পাশে”। Follow us at : www.facebook.com/abptakmaa.newspaper/
www.twitter.com/abptakmaa

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *