বাংলা দু-দুটো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন দুর্গতদের পাশে অভিনেত্রী সায়নী ও বন্ধুরা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৭ই জুন ২০২০ : “আমরা মানে আমি ও কয়েকজন বন্ধু মিলে যতটা সম্ভব ডোনেশন কালেক্ট করে শুরু করলাম “Bengal Above All Project ” প্রথম প্রজেক্ট হচ্ছে “Nadia Relief” . ” যেটা আমরা সফলভাবে করতে পেরেছি গত কাল (০৬।০৬।২০২০) জানালেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ।
তিনি আরও জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিই আমাদের বাংলা দু-দুটো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন (করোনা ও আম্ফুন )এই বাংলার মানুষ হিসাবে আমদের কিছু করতে হবে , দাঁড়াতে হবে পাশে থাকতে হবে এই বাংলার।
গত কাল (০৬।০৬।২০২০) আমরা গিয়েছিলাম করিমপুরের তেহট্ট subdivision নদীয়া জেলায়।আমরা জানতে পারি সেখানে কিছু পরিবারের কথা যারা বেশির ভাগ ই বয়স্ক এবং আম্ফুনের আসুরিক প্রভাবে ভীষণ ভাবে বিধস্ত। ধরাদহ, নদীডাঙ্গা এবং নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত -এর সেইরকম ৪০ টা পরিবারকে আমারা তৈরি করি।আমরা ভোর ৬ টা নাগাদ বেরোই এবং প্রায় রাত ১১:৩০ নাগাদ আমরা ফিরি। যাতায়াতের সময়ই প্রায় ১৩ ঘন্টা কেটে যায়। আমরা ৪০ টা পরিবারকে এক মাসের রেশন দিয়ে এসেছি।যেখানে ছিল আটা, ডাল, ১০ কিলো চাল, আলু, তেল, ছাতু, সয়াবিন, চিড়ে, হরলিক্স বিস্কুট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডমেড মাস্ক, সাবান এছাড়াও বেসিক হাইজিন কিট ও রেশন কিট প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে। আমাদের টীম -এ প্রধানত ছিলাম আমি, ডিজাইনার বন্ধু জয়িতা রায়, যে প্রায় ২৫০০ হ্যান্ডমেড গামছা মাস্ক তৈরী করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আরোও করবে।অভিনেতা কৌশিক রায়, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার প্রসেন এবং আমার বন্ধু অঙ্কিতা চৌধুরী ও দীপ বাতরা।
সায়নী আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন আমাদের ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছেন তাই আমরা খুবই ভালোভাবে কাজগুলো করতে পেরেছি।প্রথমে একটা স্কুল-এ কিছু পরিবারকে আনা হয়েছিল কারণ অনেকটা ট্রাভেল করা মুশকিল হয়ে যেত এবং তারপরে আমরা পঞ্চায়েতের ভেতরে কিছু বাড়িতে গিয়ে সব জিনিসপত্র দিয়ে এসেছি।
এরপর আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং -এর অন্তর্গত “দীঘির পার” বলে একটি জায়গায় যাব ।যেখানে প্রায় ৫০টা পরিবারকে সারা মাসেরই রেশন দেবার চেষ্টা আমরা করব।ভবিষ্যতে আমাদের আরোও ১০ টি জায়গায় গিয়ে রেশন দেবার পরিকল্পনা আছে। সকলকে এভাবেই আমাদের পাশে থকার আবেদন জানাই।’’ প্রচারে সুদীপ যাদব।