রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায় ৩ নং ওয়ার্ডে পৌরমাতা অশোকা মির্ধাকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন বজায় রাখতে বিধায়ক কোঅর্ডিনেটর অশোকাকে রেখেই দায়িত্ব দিলেন জয়ন্তকে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৫ই জুন ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সরকারি নিয়েম মেনে প্রথমে প্রশাসকের ভুমিকায় বসেছিলেন পৌর প্রধান ডাঃ পল্লব দাস এবং পৌর পারিষদের সদস্যরা সেই প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য হিসাবে বহাল থাকেন। কিন্তু ওয়ার্ডগুলোকে দেখভাল করবে কে? বিরোধীদের অপপ্রচারের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে ওয়ার্ড এছাড়া ওয়ার্ডে বর্তমানে যে দুর্যোগ চলছে সেখানে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে। তাই বিধায়ক ওয়ার্ডে সকল কাউন্সিলারদের দায়িত্ব দিলেন ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর হিসাবে সরকারি নিয়ম মেনেই। অশোকার সাথে এই ওয়ার্ডে বিধায়ক প্রতিনিধি হিসাবে বাড়তি দায়িত্ব পেলেন ওয়ার্ডের সভাপতি জগদীশ নস্কর ও তৃণমূলের যুব নেতা জয়ন্ত সেনগুপ্ত।
মূলত বিধায়ক প্রতিনিধিদের নিয়োগ করা হয় সাম্প্রতিক যে পুরানো রেশন কার্ডের বিনিময়ে রেশন দেওয়া হবে তার তালিকা তৈরির কাজের জন্য। বিধায়ক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে এই তালিকা তৈরির কাজ করতে চাইছেন অশোকা কিন্তু কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব পাওয়ার পরই মাঠে নেমে পড়েন অশোকা। বিদায়ী পৌরমাতা ওয়ার্ডে ওঠা সব জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে যেভাবে করোনা ও আমফান মোকাবিলার জন্য দায়িত্ব নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ঠিক একই ভাবে এই ওয়ার্ডের সব বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং পুরানো রেশন কার্ডের বিনিময়ে সরকারি নির্দেশ মেনে বিধায়কের উদ্যোগকে সফল করতে তালিকা তৈরির কাজে নেমে পড়েন। কোন বৈঠকে বিধায়ক প্রতিনিধিকে পাশে পান নি বলে অশোকা জানান।বহুবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিজেই বুথ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক সারেন।অশোকা জানান মমতা ব্যানার্জি আদর্শ মেনেই মানুষের উন্নয়ন চান।
এখানেই শেষ নয় সামনে পৌরসভা নির্বাচন তাই ফের অশোকা মির্ধা বিদায়ী পৌরমাতা হলেও দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে সমীক্ষার কাজও শুরু করে দেন। প্রধানত সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডের মত এই ওয়ার্ডেও আমফানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের বাড়ি গিয়ে তা সরজমিনে আবার দেখতে যান অশোকা মির্ধা। অশোকা মির্ধা জানান, ওয়ার্ডে কে নির্বাচনে প্রার্থী টিকিট পাবে তা নির্ধারণ করবে দল। আমি আমার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সি আই সি নজরুল আলি মন্ডলের উপর আস্থা ও ভরসা রেখে তাদের নির্দেশ মত মানুষের পাশে কাজ করে যাচ্ছি। আমি ১০ বছরের পৌরমাতা হলেও তাদের নির্দেশ ছাড়া কখনও কোন কাজ করিনি। সব সময় তাদের পরামর্শ নিয়েই উন্নয়ন করে এসেছি, আজও তাই করবো। তাঁরা দুজনেই আমার রাজনৈতিক অভিভাবকের ভুমিকায় ছিলেন ও থাকবেন।ওয়ার্ডে অনেকেই অনেক রকমের অপপ্রচার চালাতে পারে কারণ বিরোধীদের কাজ অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেওয়া, সেখানে আমাদের দলের ভূমিকা হবে যৌথ ভাবে তা মোকাবিলা করা। বিজেপি এখানে বহু ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে যার মোকাবিলায় আমি ও জয়ন্ত সেনগুপ্ত আশাকরি যৌথভাবে মোকাবিলা করতে পারবো।