প্রথম পাতা

এবার জি ডি বিড়লা, অশোকা হল ও মহাদেবী বিড়লা স্কুলের মাইনে ছাড় নিয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখায়

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৯শে জুন ২০২০ : লকডাউনের মধ্যে বেসরকারি স্কুলগুলো বলপূর্বক অমানবিকভাবে তাদের নতুন সেশনের মাইনের দাবি করছেন।বিশেষ করে মাধ্যমিক বোর্ড বাদে দিল্লি বোর্ড ও সেন্ট্রাল বোর্ড স্কুলগুলো অভিভাবকদের উপর এই চাপ সৃষ্টি করছে।তবে মাধ্যমিক স্কুলগুলো যে করছে না তাও বলা যাবে না। লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁরা স্কুল খুলে রেখেছে মাসিক মাইনে নেওয়ার জন্য যেখানে সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকার। যেখানে স্কুল খোলা হচ্ছে না সেখানে স্কুল কিভাবে মাইনে নেওয়ার জন্য খোলা রাখতে পারে এই নিয়ে জোর প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক মহলে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীর যেখানে স্কুলের কোন সুবিধাই পাচ্ছে না সেখানে পুরো মাইনে দেওয়ার আর্জি কি করে জানাচ্ছে স্কুল তাই নিয়েও বহু জায়গায় বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। প্রথম এই বিক্ষোভ দেখা যায় বালি ও হাওড়া বিধানসভায়। এই দুই বিধানসভার বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া ও লক্ষীরতন শুক্ল এগিয়ে এসে অভিভাবকদের পাশে দাঁড়ান।তাঁরা বিভিন্ন স্কুল কতৃপক্ষের সাথে মিটিং করে নির্ধারণ করেন যে মার্চ থেকে জুন এই তিনমাসের মাইনে স্কুল নিতে পারবেন না, বাসের মাইনে নিতে পারবে না এবং নতুন সেশনের বাৎসরিক ফি অর্ধেক নিতে হবে। এছাড়া স্কুলের যে সব আনুসাঙ্গিক ফি আছে যেমন লাইব্রেরী, মেডিক্যাল, জেনারেটার, ডেভেলপমেন্ট ফি ও সেশন ফি নেওয়া যাবে না যেখানে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের কোন পরিষেবা পাচ্ছে না।

আজ দক্ষিণ কলকাতায় অশোকা হল স্কুলের (মাধ্যমিক পর্ষদের অধীনে) সামনে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান কারণ তাদের অভিযোগ স্কুল কতৃপক্ষের সাথে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁরা তাদের এড়িয়ে যান। তাই আজ তাঁরা সরাসরি সামনা সামনি দেখা করে কথা বলতে চান। তাঁরা দাবি জানান, স্কুলের বহু পরিষেবা বর্তমানে লকডাউন অবস্থা থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীরা ভোগ করছে না কিন্তু স্কুল সেইসব পরিষেবার চার্জ দেওয়ার জন্য জোর করছে। তাঁরা জানান মার্চ মাস থেকে অনেকে তাদের অফিসের বেতন ঠিক ভাবে পাচ্ছেন না আর পেলেও তা কম পাচ্ছেন। তাঁরা স্কুল কতৃপক্ষকে বহুবার অনুরোধ করেছেন শুধু স্কুলের টিউশন ফি যা বর্তমানে ৫৩৩৫ টাকা তা ৫০% কমিয়ে দেওয়া হোক এবং ত্রৈমাসিকের জায়গায় প্রতি মাসে নেওয়ার ব্যবস্থা করুক।এছাড়া অন্য কোন চার্জ যেমন সেশন ফি, স্টেশনারি ফি, বাস ফি ও অন্যান্য প্রশাসনিক ফি ছাড় দেওয়া হোক কারণ এই পরিষেবা স্কুল বর্তমানে দিচ্ছে না, কিন্তু স্কুল তা মানতে নারাজ।অশোকা হলের মত নামজাদা স্কুল যদি এতটাই অমানবিক আচরণ করে তবে এই স্কুল থেকে ছাত্রীরা তো অমানবিক হবেই, এটাই স্বাভাবিক। এদিন জি ডি বিড়লা, মহাদেবী বিড়লা ও অশোকা হল এই তিনটে স্কুলের অভিভাবকেরা একসাথে বিক্ষোভ দেখায় মিন্টো পার্কে অশোকা হল স্কুলের সামনে। অভিভাবকেরা এমনও বলেন স্কুল কতৃপক্ষ যদি আলোচনায় বসেন সেখানে টিউশন ফিস-এর ৫০% ছাড়ের জায়গায় কমবেশি করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *