লকডাউন কাটতেই আনলকে রাস্তার বাকি থাকা কাজ শুরু করে দিলেন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৮ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা নমিতা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২২শে জুন ২০২০ : সেই মার্চ মাস থেকে করোনার জেরে রাজ্য জুড়ে মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় নিয়ে লকডাউন ঘোষণা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।এরপর থেকে পৌরসভার উন্নয়নের কাজ প্রায় স্তব্ধ হয়ে থাকে কারণ শ্রমিকের হাজিরা কমতে থাকে এবং এই সময় রাজ্য জুড়ে সব কাজ, ব্যবসা, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু জুন মাসে এই লকডাউন পরিস্থিতির কিছুটা সিথিলতা দিয়ে আনলক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং সাথে এমনও বলেন এই ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা সব রাজ্যকে দেওয়া হল। তাঁরা যদি চায় আনলক ১ প্রয়োগ করবে করতে পারে তবে সংক্রমণের কথা মাথায় নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে কিছু এলাকা চালু করতে পারে।
এরপর মোটের উপর গোটা রাজ্যে প্রায় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। মানুষ সাহস করে বাজারে আসতে শুরু করে, মানুষ কাজে যেতেও শুরু করে, কিছু কিছু ব্যবসাও খুলতে শুরু করে। এমন অবস্থায় বেশ কিছু পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে সরকার প্রশাসক মারফৎ কাজ শুরু করে। সেইমত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও প্রশাসক ও প্রশাসকমন্ডলীর মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৮ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌরমাতা ও বর্তমানে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর নিমিতা দাস লকডাউনের সময় মণ্ডল পাড়ার ৬০০ মিটার রাস্তার কাজ শুরু করে দেন। এই রাস্তার কাজ দীর্ঘদিনের এক জ্বলন্ত সমস্যা ছিল। এখানকার মানুষের দাবি ছিল রাস্তা হতে পারে কিন্তু তার আগে হাইড্রেনের কাজ করে তবেই রাস্তার কাজ করতে হবে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে তৎকালীন পৌরমাতা নমিতা দাস হাইড্রেনের কাজ শেষ করেই রাস্তার কাজ শুরু করতেই লকডাউন ঘোষণা হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এবার লকডাউন খুলতেই সেই কাজ আবার শুরু করে দিয়েছেন। তিনি জানান, এই ড্রেন ও রাস্তার কাজ শেষ হলে এবার বর্ষায় এই এলাকায় আর বর্ষার জল জমবে না। এটা এই এলাকার বহুদিনের সমস্যা। আমার পৌরমাতা হওয়ার আগে থেকেই এই সমস্যা নিয়ে ভুগছে মানুষ। এবার সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে এই এলাকার মানুষ।