থানায় এক আলোচনায় গড়িয়া স্টেশন নিয়ে মুখ খুললেন পাপিয়া, বিভাস সঙ্গ দিলেন নজরুল আলি মন্ডল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৭শে জুলাই ২০১৯ : সোনারপুর উত্তর বিধানসভার রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার গড়িয়া স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি দিনের পর দিন অবনতি হয়ে যাচ্ছে। আর তাই নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় এক আলোচনায় মুখোমুখি হয়েছিলেন গড়িয়া স্টেশনের দুই কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার (১ নং ওয়ার্ড) ও বিভাস মুখার্জি (৪ নং ওয়ার্ড) সাথে ছিলেন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি তথা ২৭ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা নজরুল আলি মন্ডল, জয়ন্ত সেনগুপ্ত সহ গড়িয়া স্টেশন এলাকার বহু ক্লাব প্রতিনিধিরা।এই আলোচনা সভায় প্রশাসনের তরফে উপস্থিত ছিলেন দি এস পি (ডি ই বি) মিরজামির কাসিম ও নরেন্দ্রপুর থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী। সভায় গড়িয়া স্টেশন নিয়ে সোচ্চার হন পাপিয়া হালদার। পাপিয়া হালদার গড়িয়া স্টেশনের প্রতিদিনের জ্যামজট নিয়ে উল্লেখ করেন। এখানে একসময় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির উদ্যোগে গড়িয়া স্টেশন চত্বরে ট্র্যাফিক সিগনাল বসেছিল। কিন্তু সিগনাল থাকলেও সেই সিগনাল অপারেট করার জন্য কোন পুলিশ থাকে না। প্রায়ই দেখা যায় সিগনালের জায়গায় শুধু হলুদ সিগনাল দেওয়া থাকে যার মানে হল যেসব যান চলবে তারা তাদের দায়িত্বে যাবে, আবার কখনও অটোমেটিক সিগনালিং করা থাকে। কিন্তু এই যানজট আটকাতে কোন পুলিশকে দেখা যায় না। শ্রীনগর জায়গাটি যেহেতু রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত তাই দায়িত্ব তুলে নিতে হয় সেই ১ নং ওয়ার্ডের পুরমাতা পাপিয়া হালদারকে। তিনি তার সাংগঠনিক কর্মীদের দিয়ে নিয়ন্ত্রন করতে বাধ্য হন। কিন্তু বিশেষ করে বাগবাজার, পাইকপাড়া ও মিনিবাসের মনমর্জি যাত্রীদের তোলার জন্য যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তার ধারে পার্কিং করা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করার কেউ থাকে না। যদিও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরসভার সিভিক পুলিশ কর্তব্যরত থাকে কিন্তু তারাও কখনও কখনও সামাল দিতে পারে না পরিস্থিতিকে। যদিও এই সভা ছিল গড়িয়া স্টেশনের যানজট নিয়ে কিন্তু সুযোগ পেতেই বিভাস মুখার্জি যানজটের সাথে গোটা গড়িয়া স্টেশনে মদ, জুয়া, সাট্টা নিয়ে সোচ্চার হন। আগে গড়িয়ে স্টেশনে বাজার এলাকায় এই কার্যকলাপ হত কিন্তু বিভাস মুখার্জির নিজস্ব উদ্যোগে তা অনেকটা বন্ধ হয়েছে। এখন কালোবাজারি মদ বিক্রি না হলেও সন্ধ্যা বাজার এলাকায় সাট্টার ঠেক চলে। কিন্তু যেটা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে তা হল ঢালুয়া কাঠের ব্রিজের সামনে এখন চলছে রমরমিয়ে বেআইনি মদ বিক্রি সাথে গাঁজা বিক্রি। এছাড়া বদন চন্দ্র স্কুলের সামনে খালের ধারে একটা দোকানে চলছে গাঁজা বিক্রি। ক্রেতা কারা? স্কুলের ছাত্ররা! ভাবতে পারেন। বিভাস মুখার্জি এই কথাগুলো বলতে গিয়ে এমনও বলেন এই ব্যবসার নেপথ্যে পুলিশের একাংশের মদত রয়েছে। তাদের প্রচ্ছন্ন মদতে চলছে এই ব্যবসা। সব শুনে ডি আই জি আশ্বস্ত করেন এবার প্রতিদিন পুলিশের টহল চলবে যাতে এই ব্যবসা বন্ধ হয়। সবার বক্তব্যের পর নজরুল আলি মন্ডল আরও বিস্তারিত ভাবে বলেন যে রাস্তায় যত্রতত্র দোকান বসার কারণে যানজট হচ্ছে। এই বেআইনি দোকান বসতে দেওয়া যাবে না। গাড়ি তো চলতে পারে না, এমনকি মানুষও চলাচল করতে পারে না। তিনি বলেন গড়িয়া স্টেশনের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।