এলজির মল্লিকা ই-কিচেন রান্না প্রতিযোগিতার পূর্বাঞ্চল থেকে সেরা কলকাতা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৯শে জুলাই ২০১৯ : এলজির মল্লিকা ই-কিচেন রান্না প্রতিযোগিতা ২০১৯-এর পূর্বাঞ্চলের মূল পর্ব হয়ে গেল কলকাতায়। এই অনন্য উদ্যোগটি নেওয়ার কারণ হল দেশে স্বাস্থ্যকর রান্না করার উদ্দীপনাকে বৃদ্ধি করা। ৬৬টি শহর জুড়ে মোট ৮০০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল যার মধ্যে আঞ্চলিক পর্বে পূর্বাঞ্চল থেকে ৯ জন মূল পর্বের প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মল্লিকা ই-কিচেন দ্বিতীয় রাউন্ডে সকল প্রতিযোগীরা উল্লাসজনক রন্ধন দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি অংশগ্রহনকারীকে ৯০ মিনিট সময়ের মধ্যে এলজি চারকোল মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে একটা মেন কোর্স ডিস রান্না করতে হবে। মল্লিকা ই-কিচেন প্রতিযগিতাটির মূল উদ্দেশ্য হল ভারতীয় গৃহকর্তৃদের স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্বটা সম্পর্কে শিক্ষিত করা এবং তাদের প্রতিভাকে প্রদর্শন করার এক অনন্য সুযোগ প্রদান করা। এই বছর ছিল প্রতিযোগিতার ৮ম বর্ষ। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটা অঞ্চল থেকে ৩ জন করে বিজয়ীকে নির্বাচিত করা হবে যারা আগামী ২৪শে আগস্ট ২০১৯ গ্র্যান্ড ফাইনালে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বে।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে এলজি ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর পূর্ব রিজিওনাল বিজনেস হেড অজয় শর্মা বলেন, কলকাতা হল এমন এক শহর যেটি বহু জিনিষের জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্র্যান্ড রয়াল কুজিন যার মধ্যে পূর্ব ভারতীয় রান্নার বিশেষত্বগুলোর এক সারগ্রাহী মিশ্রণ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রতিযোগিতাটি মানুষকে দারুণ সুযোগ দেবে। এখান থেকে বোঝা যাবে মহিলারা নিজের সংসারকে কতটা স্বাস্থ্যকর রাখতে চান, নিজের সংসারকে কতটা ভালোবাসেন। নিজের পরিবারের সদস্যদের কতটা সুস্থ্য রাখতে চান। এছাড়া এটাও বোঝা যাবে রান্নার প্রতি মহিলারা কতটা আসক্ত। কারণ আপনারা সকলে জানেন রন্ধন একটা শৈল্পিক সত্ত্বা। যে মহিলার মধ্যে এই শৈল্পিক সত্ত্ব বেশি থাকবে তাঁর রান্না তত ভাল ও সুস্বাদু হবে। এটাও একটা আর্ট। এই এলজি রন্ধন প্রতিযোগিতা ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল। আমরা চাই রাজ্য স্তর থেকে জাতীয় স্তরে মহিলারা আমাদের এলজি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে চারকোল দিয়ে রান্না করুক কারণ এই রান্না অনেক বেশি স্বাস্ত্যকর ও সাশ্রয়ী। এখানে একজন ইলিশ মাছ ভাজা করেছে দেখলাম, খেয়েও দেখলাম। কি অপূর্ব স্বাদ। প্রশ্ন করলাম কিসে মাছ ভাজলেন, তিনি উত্তর দিলেন, কেন মাইক্রোওয়ভে চারকোলে। এই প্রতিযোগিতায় ১৮ বছরের উর্ধে যে কোন মহিলা অংশগ্রহণ করতে পারে। এই প্রতিযোগিতা চলে তিন মাস ধরে। এবারের প্রতিযোগীদের মধ্যে পূর্বাঞ্চল থেকে যে তিনজন জয়ী হয়েছেন তারা হলেন প্রথম পিয়ালি ঘোষ (কলকাতা), দ্বিতীয় পূজা সারদা (দুর্গাপুর) ও তৃতীয় মৃদুস্মিতা দেওরা (গুয়াহাটি)।এই তিনজন আগামী ২৪শে আগস্ট চন্ডিগরে ফাইনালে পূর্বাঞ্চলকে প্রতিনিধিত্ব করবে।এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন শেফ রুকমা ডাকশি। প্রচারে : প্যাসিফিক কমিউনিকেশন।