নারী দিবসের সাম্যতা রেখে রিচা চোখে আঙুল দিয়ে সমাজকে দেখিয়ে দিল ” এভরি ৬৮ মিনিট’স”
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৭ই মার্চ ২০২০ : ” এভরি ৬৮ মিনিট’স” নামটার মধ্যে কোথাও যেন একটা অন্তর্নিহিত মানে লুকিয়ে আছে।রাস্তায় যখন হোর্ডিং দেখা গিয়েছিল তখন অনেকে অনেক রকম ভাবেছে, কিন্তু যখন বাস্তবে সিনেমা সামনে এলো তখন সকলের চোখ কপালে। ডেভিড অ্যান্ড গোলিয়াথ ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবি সকলের মনকে নাড়া দিয়ে গেছে বিশেষ করে মহিলাদের। নারী দিবসের সাম্যতা রেখে ছবির বিষয়বস্তু ফের একবার নারীকে প্রতিবাদ করতে শেখালো।
চিরাচরিত রীতিতে নির্দেশক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী তাঁর সেই পরিচিত ঢঙে বিতর্ককে উস্কে দিল। ছবিতে অভিনয় করেছে রিচা শর্মা, টোটা রায় চৌধুরী, আদিল হোসেন সহ অনেকে। ছবিতে সঙ্গীতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন পঃ বিক্রম ঘোষ। ছবি প্রযোজনায় ছিলেন লাল ভাটিয়া ও ইমরান জাকি। সাম্প্রতিক বাইপাস সংলগ্ন এক পাঁচতারা হোটেলে ছবির স্ক্রিনিং হয়ে গেল। স্ক্রিনিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী রিচা শর্মা, নির্দেশক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, লাল ভাটিয়া ও ইমরান জাকি।
সদ্য বিবাহিত এক কন্যার গল্প নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ” এভরি ৬৮ মিনিট’স”। নবদম্পতি অনেক আশা নিয়ে তাঁর সংসার শুরু করে কিন্তু পরিবেশ ও পরিস্থিতি যেখানে নিয়ে যায় সেখানে নববধূর সব স্বপ্ন ভেঙে যায়। স্বামী, শ্বশুর ও ননদের অত্যাচারে সব থেকে ভুগতে হয় সেই নববধূকে। এটাই দেখানো হয়েছে। অপূর্ব অভিনয় করে সেই নববধূ-র ভুমিকায় ছিলেন রিচা শর্মা। কিন্তু অত্যাচার সহ্য করার পরিণতি তবে কি, মুক্তি না মৃত্যু? এটাই হয়ে থাকে গোটা বাংলায়।ভারতে প্রতি ৬৮ মিনিটে পণ প্রথার শিকার হতে হয় একজন করে মেয়ের মানে একজন স্ত্রী-র, একজন কন্যার, একজন বোনের।
এই ছবি ইতিমধ্যে সিকিমে “গ্লোবাল সিনেমা ফেস্টিভ্যাল ২০২০”-তে উদ্বোধনে প্রদর্শিত হয়। রিচা ছবি মুক্তির পর জানান, “The silent scars of domestic violence are sometimes the longest to fade. The visible ones are the brutal testimony to what she faces behind closed doors. Every cry of despair from a victim of domestic abuse is a tight slap on the face of humanity. Mothers, daughters and wives are tormented day in and day out due to dowry demands and many a time their closest family turns their back on their pleas and a blind eye to their misery, often ignoring the very real signs of death or suicide. If you are a friend, a neighbour, a colleague, or a bystander of this inhuman crime, please don’t hesitate in reporting it and supporting the woman in whatever way you can. Sometimes a little support can give her the strength to fight back.” Publicity : Media Connect.