কলকাতা পুলিশের প্রনামের উদ্যোগে শহরের প্রবীণদের দেখানো হল “পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই”, বুঝিয়ে দিল ভালবাসাই হল একমাত্র তন্ত্র
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৯শে ডিসেম্বর ২০১৯ : কলকাতার বহু প্রবীণ নাগরিকেরা একাকীত্বে ভোগেন। তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য সেরকম কেউ নেই আজ। কেউ একা বসবাস করেন আবার কেউ হয়তো স্বামী-স্ত্রী থাকলেও তাদের সাথে কথা বলার বা কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ থাকে না। কিন্তু কলকাতা পুলিশের “প্রনাম” মাঝেমাঝেই এমন কাজ করে থাকেন। আজ দুপুরে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ সঙ্গীতপ্রেমী সুজয় কুমার চন্দ্রের উপস্থিতিতে আলিপুর কলকাতা পুলিশের বডি গার্ড লাইনসের প্রেক্ষাগৃহে এই সব প্রবীণদের বিভিন্ন এলাকা থেকে কলকাতা পুলিশের বাসে করে এনে দেখানো হল সুচন্দ্রা বানিয়া অভিনীত ও প্রযোজিত এবং রাজশ্রী দে নির্দেশিত বাংলা ছবি “পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই”। প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি প্রবীণেরা স্থির হয়ে অধীর আগ্রহে উপলব্ধি করেন সুচন্দ্রার এই ছবি। বিরতির সময় সকলের সাথে সুজয় চন্দ্র, সুচন্দ্রা ও রাজশ্রী ব্যক্তিগতভাবে প্রবীণ দর্শকদের সাথে দেখা করেন। জানতে চান “পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই” তাদের কেমন লেগেছে।বিরতি পর্যন্ত সিনেমা দেখার পর সকলের মনের তন্ত্র সাধনা ও প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে মনে উঁকি দেওয়া অগুন্তি প্রশ্নের এক এক করে উত্তর দেন তিনজনই।
এরপর সকলকে নিয়ে একই ফ্রেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তাঁরা। প্রবীণদের জন্য সামান্য হলেও চা চক্রের ব্যবস্থা ছিল। ফের একবার কলকাতা পুলিশ বিঝিয়ে দিল তাঁরা সমাজের প্রবীণদের পাশে আছেন, নজরে রাখেন। প্রবীণদের প্রশ্ন করলে তাঁরা জানায়, কলকাতা পুলিশ সত্যিই মাঝেমধ্যে এধরনের ভাল উদ্যোগ নেয়।বয়সের কারণে আমাদের তো কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। এছাড়া আমরা তো এক কথায় বলতে গেলে একাই থাকি, সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ এভাবে আমাদের এনে দিয়েছে মনে একটা আলাদা আমেজ, একটা আলাদা আনন্দ প্রদান করেছে।
এটা আগে কোনদিনও পাই নি, এই পরিবর্তনের সরকার আসার পর পাচ্ছি। খুব ভাল লাগছে, এভাবে আবার একবার ফিরে পাচ্ছি সেই যৌবনের ফেলে আসা সময়গুলো।প্রবীণদের দেখে সিনেমার কথা ধরে বলতে হয় ভালোবাসা একমাত্র তন্ত্র, ভালোবাসা একমাত্র ম্যাজিক যা মানুষের মন ও শরীরের অসুস্থতাকে ভাল করে দেয়।এক কথায় “হৃদয় দিয়ে যার হৃদয় মেলে”। সিনেমার পর সুচন্দ্রা জানান, খুব ভাল লাগছে প্রবীণ মানুষেরা ছবিটাকে খুব মনোযোগ সহকারে দেখেছেন, ভাল বলেছেন আর একই সাথে খুব গর্বের সাথে এটা বলতে চাই দর্শকদের কাছে এই সিনেমা একটা জায়গা করে নিয়েছে বলেই ছয় সপ্তাহ প্রেক্ষাগৃহে চলছে।