নব নালন্দার “নালন্দাশ্রী” প্রতিযোগিতায় কচিকাঁচাদের ছিল বেশ উন্নত মানের নাটক
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১১ই ডিসেম্বর ২০১৯ : আজ ছিল নব নালন্দা স্কুলের “নালন্দাশ্রী” প্রতিযোগিতার তৃতীয়দিন। আজ ছিল নাটক, গান, অন্তাক্ষরি, স্টোরি রাইটিং ও ডিবেট। তবে সকালের শুরুটা ছিল খুবই ভাল। মোট ছয়টি নাটক পরিবেশিত হয় যার সবটাই নির্দেশনার দায়িত্ব ছিল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উপর। প্রথম নাটক পরিবেশিত হয় “পদক্ষেপ” যার মধ্যে একটা বিশেষ সামাজিক বার্তা ছিল। এই ছোট্ট শিশুরা যে এই বয়সে এই বিষয়টাকে উপলব্ধি করতে পেরেছে এটাই ছিল মূখ্য। নাটকের বিষয় ছিল “জল বাঁচাও, গাছ লাগাও ও প্রাণ বাঁচাও”।
কিন্তু কেন এই নাটকটা সেরার মধ্যে বিবেচিত হল না এটা আজকের দুজন বিচারকই বলতে পারবেন। দ্বিতীয় নাটক ছিল সুজাতা চ্যাটার্জি নির্দেশিত “গোখরোর কামড়”, এরপর ছিল “চ্যানেল বিভ্রাট” যার মধ্যে একইসাথে ছিল রসিকতা আবার অন্যদিকে জীবনের বাস্তবতা।মঞ্চ দুভাগে দুটো প্রেক্ষাপটে ছিল বিভক্ত যা বর্তমানে নাটকের একটা নতুনন্ত্ব ভাবনা। তবে ঘটনার সাথে গান নির্বাচন ছিল খাসা। এই নাটক রচনা ও নির্দেশনা করেছেন স্কুলের দুই শিক্ষক রাজশেখর দত্ত ও গৌতম দাস।
এখানেই শেষ নয়, চতর্থ নাটক ছিল “ভাবনা বুড়ো”, এই নাটকের বিষয়বস্তু ছিল সচেতনতা ও বাস্তবতা নিয়ে। আজকের শিশুরা কতটা মোবাইল বা ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছে তা নিয়ে ছিল এই নাটক এবং এই নাটক নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সর্মিষ্ঠা মুখার্জি। সাদামাটার মধ্যে পরিবেশিত হয় পঞ্চম নাটক ছিল “মোটুরামের কেরামতি” তবে সকল ছাত্রছাত্রীর পরিবেশনা মোটের উপর ভালোই ছিল শুধু মঞ্চে নির্ধারিত জায়গায় থাকার ব্যাপারটা একটু নজর দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। নাটকের নির্দেশনায় ছিলেন অরুন্ধতি বসু সহ অনেকে।আর শেষ নাটক ছিল সুনিথা সেন নির্দেশিত “পরের উপকার করিও না”। এই নাটকটিও বেশ ছিল সাদামাটা।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটা নাটকের সময়সীমা ছিল ১৫ মিনিট ও চরিত্র সীমা ছিল ১৫টি।নাটক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জি ও সুশান্ত সাধুখা। সবশেষে বিচারকদের বিচারে সেরা নাটক বিবেচিত হয় “ভাবনা বুড়ো”, দ্বিতীয়স্থানে “চ্যানেল বিভ্রাট” ও তৃতীয় “গোখরোর কামড়”। এবার সেরা অভিনয়ের জন্য “চ্যালেন বিভ্রাট”-এর রূপসা বিশ্বাস সেরা বিবেচিত হয় এবং সেরা নির্দেশনার জন্য “ভাবনা বুড়ো” নাটকের জন্য শিক্ষিকা সর্মিষ্ঠা মুখার্জি সেরা নির্দেশক বিবেচিত হন।