দেবলিনা অভিনীত প্রথম হিন্দী ছবি তন্ময় রায় নির্দেশিত “রাজনন্দিনী”র টেলার ও সিডি লঞ্চ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৯ : ভুতুরে বাড়ির গল্প নিয়ে এর আগে অনেক বাংলা ছবি হয়েছে ঠিকই, আবার জমিদারবাড়ি বা রাজবাড়ির ভুতুরে কান্ড নিয়েও অনেক বাংলা ছবি হয়েছে কিন্তু গোটা সিনেমার প্রেক্ষাপট একটা প্রাচীন রাজবাড়িতে অতি মূল্যবান রত্ন খুঁজতে গিয়ে সেখানে ভূতের তান্ডব বোধহয় এই প্রথম।ডি সুধীর প্রোডাকশন প্রযোজিত সুধীর দত্তের সহযোগিতায় প্রথমবার হিন্দি ছবি আসতে চেলেছে প্রেক্ষাগৃহে। ছবির নির্দেশক তন্ময় রায় এবং অভিনয় করেছেন দেবলিনা দত্ত, নাফে খান, সুদেশ বেরি, অমিতা নাঙ্গিয়া, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, সুধীর দত্ত, সান্তনা বসু, দেবাশিস গাঙ্গুলি, স্নেহা মুখার্জি, লেসলি ত্রিপাঠি, কিশোর নন্দু লস্কর, আধ্বেশ কুমার, দেব গাঙ্গুলি, মনিকা গাঙ্গুলি, ভির, পূজা গাঙ্গুলি, মাহি খান সহ অনেকে।ছবিতে শিশুশিল্পীরা হলেন সৌমিলি, ক্রিষ, তিথি, প্রীতি, তহ্নিষা।
ছবির গল্প বলতে গায়ে কাটা দেওয়ার মত। কলেজের এক দল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রঃ ফারনান্ডেজ একজন প্রাক্তন ভুতত্ববিদ কিশাঙ্গঞ্জের এক রাজবাড়ি “নীল হাভেলি”তে এক্সকারশনে নিয়ে গেছেন।সেই পরিত্যাক্ত হাভেলিতে আসতেই শুরু হয় ভূতের তান্ডব। কিন্তু অধ্যাপক তার মধ্যে এক প্রাচীন রত্ন খচিত রাধামাধবের মুর্তির খোঁজ করেন। এই মুর্তি খুঁজতে গিয়ে এক দল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রায় সকলেই ভূতের কবলে প্রাণ হারায়। হঠাৎ রাহুল নামে এক ছাত্র পুনর্জন্ম নিয়ে সেই হাভেলিতে এলে তাঁর আগের জন্মের প্রেমিকা রাজনন্দিনীর সাথে দেখা হয়। সকলের মাঝখান থেকে রাহুল উধাও হয়ে যায় রাজনন্দিনীর সাথে। সকলের যখন মৃত্যু হয়েছে তখন সেখান থেকে রাজ ও পায়েল প্রাণ হাতে নিয়ে মৃত্যুর কবল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং গোটা সমাজকে তাদের সেই ভূতের গ্রাস থেকে বেঁচে ফেরার গল্প বলে।
সাম্প্রতিক প্রেস ক্লাবে “রাজনন্দিনী” ছবির টেলার ও মিউজিক সিডি লঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুধীর দত্ত, তন্ময় রায়, সান্তনা বসু, দেবলিনা দত্ত, নাফে খান সহ অনেকে। ছবির সুরকার সুধীর দত্ত, গীতিকার অরুনাশিষ রায় ও রাজীব দত্ত। ছবিতে গান গেয়েছেন রাখি দত্ত, শোভন গাঙ্গুলি, রথিজিত ভট্টাচার্য, রূপসা দত্ত, সুজয় ভৌমিক, রিক বসু, অরিত্র দাশগুপ্ত ও শুভংকর দেবনাথ। প্রচারে লাইমলাইট।