“ব্রুট্টা”এক ব্যতিক্রমী সমাজের কুৎসিত দিক তুলে ধরেছে পরিচালক বাবাই, পুরুষদেরও যৌন নিগ্রহ হয়
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ : “স্মৃতির পটে জীবন ছবি কে আঁকিয়া যায় জানি না ।কিন্তু যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে।”–(জীবনস্মৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
এই কথার রেশ টেনেই বলছি প্রতিটি মানুষের জীবনে যে শৈশব-স্মৃতি তা খুব মধুর হওয়াই বাস্তব ,কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠে। সচারচর আমরা যে সমস্ত ঘটনাবলী এই অবক্ষই সমাজের মধ্যে নারীদের ক্ষেত্রে দেখে বা শুনে থাকি তা যে কেবল নারীতেই আটকে থেকে যায় আর পুরুষদের ক্ষেত্রে যে ব্যতিক্রম হয় না সেটা একদম সত্যি নয়। সেই বিষয়েই আলোকপাত করতে চেয়েছেন আমাদের নবীন পরিচালক বাবাই সেন তাঁর এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের “ব্রুট্টা” (Brutta) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।মাত্র ৩০ মিনিটের “ব্রুট্টা” (Brutta) ছবি উপস্থাপন করেছেন লাভ স্টার এবং প্রযোজনা করেছে পেহেচান।সাম্প্রতিক প্রেস ক্লাবে এই ছবির ট্রেলার ও গানের সিডি প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আমিতাভ ভট্টাচার্য, রানদ্বীপ সরকার সহ অনেকে।
অভিরূপ ওরফে (ববিন সেন) ছোটবেলায় তার শিক্ষকের দ্বারা যৌণ নিগ্রহের শিকার হন, তার পর থেকে চলতে থাকা নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও মানসিক দ্বন্দ্ব’ই এই ছবির মূল বিষয় বস্তু, মূলতঃ মন:স্তাত্ত্বিক এই ছবি, মনুষ্যত্ব বিশেষজ্ঞ এর ভূমিকায় রূপাঞ্জনা মিত্র ছাড়াও সুরজিত সেন সহ নানান কলাকুশলীদের সুদক্ষ অভিনয় শৈলী এই সিনেমার মূল অলংকার।সাথে ছবির ২টো গান।এখানে গানের সুরারোপ করেছেন ও কণ্ঠ দিয়ে ছবিটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন মনোজ রায় ও চিরন্তন ব্যানার্জি। এছাড়া চিত্রগ্রাহক মনিরুল ইসলাম দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। এছাড়া নানান উদ্যমী মানুষের সহযোগিতায় ও পরিবেশকদ্বয় কৌশিক মন্ডল, অমিত পালের পরিবেশনা ছবিটি হয়ে উঠেছে সমাজের এক জীবন্ত দলিল।
শেষে কবি শ্রীজাতর কবিতা থেকে বলবো, “আমাদের ধর্ম বাঁচা। কৃষক বা কবি, ফলনে চেনায় জাত। লাগেনা পদবী।”
এই ভাবেই বাবাই সেন বারবার তার ভিন্নধর্মী চিন্তা ও প্রকাশের মাধ্যমে, তার শিল্প ভাবনার মধ্যে দিয়েই এক উঠতি পরিচালকের জাত বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে এই ছবি।