নরেন্দ্রপুর থানা আন্তর্গত সোনারপুর উত্তরে ৭ জনের মধ্যে ৩ জন করোনা মুক্ত এবং সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৮ই মে ২০২০ : চারিদিকে মানুষ যখন করোনার আতঙ্কে ভুগছে তখন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার নরেন্দ্রপুর থানা অন্তর্গত সাত জনের করোনার কারণে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই সাত জনের মধ্যে ৩ জন আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন বলে থানা সূত্রে খবর। খেয়াদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জগাদীপোঁতার একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন, দ্বিতীয়জন ৩৩ নং ওয়ার্ডের ও তৃতীয়জন ৩৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন।কিন্তু আমরা সকলের সামাজিক সম্মানের কথা মাথায় রেখে কারও নাম প্রকাশ করলাম না।
এই মুহুর্তে ৩ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, দ্বিতীয়জন ৩১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজারহাট কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ত্রিতীয়জন খেয়াদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন আমরি হাসপাতালে ভর্তি এবং ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এখনও চিকিৎসাধীন বলে থানা সূত্রে খবর।
গতকাল গড়িয়ার আর্জনগর থেকে যে মহিলাকে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।তাঁকে পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত হয়ে বলা যেতে পারে করোনা আক্রান্ত হয়েছে কিনা। নরেন্দ্রপুর থানার এক আধিকারিক জানান, মানুষ যদি এখনও সচেতন না হয় তবে আরও মারাত্বক পরিস্থিতি হতে পারে। আমরা যখন টহলে যাচ্ছি তখন সকলে গাঁ ঢাকা দিচ্ছে, দোকানদাররা চটজলদি দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে, আর আমরা চলে গেলেই আবার আগের মত সব চলছে। মানুষ এখনও বুঝতে পারছে না তাঁরা কাকে ফাঁকি দিচ্ছে, বাস্তবে তাঁরা নিজেদের ফাঁকি দিচ্ছে। এই সংক্রমণে তাদের আক্রান্তের সম্ভবনাকে বাড়িয়ে তুলছেন। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে সতর্ক করছি। কিন্তু মানুষ না শুনলে শুধু সে নয় তাঁর পরিবারকেও বিপদে ফেলছেন। মানুষের এখন বোঝার সময় হয়েছে যাতে তাঁরা নিজেদের সচেতন করে। সব থেকে এখন প্রয়োজন বাড়িতে গৃহবন্দী থাকা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং একান্ত প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা।সকলে যদি একটু সচতনতা হয়ে কটাদিন থাকেন তবে ফের নরেন্দ্রপুর থানা অরেঞ্জ জোন থেকে গ্রীন জোনে আসতে পারে। এটাই এখন সকলের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত।