৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসকে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, পল্লব কান্তি ও অরুণ উতসর্গ করলেন সোনারপুরের যক্ষ্মা রোগীদের
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৬ই আগস্ট ২০১৯ : সকলেই তো পতাকা উত্তোলন করেন, ফুটবল টুর্ণামেন্ট করেন, রক্তদান শিবির ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা করেন কিন্তু ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে দঃ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বড়াল টাউন তৃণমূল কংগ্রেস জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরুণ রায়ের উদ্যোগে এক অভিনব প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল।বোড়াল রোডে কলকাতা কর্পোরেশনের সন্ত টেরেসা কলকাতা মেমোরিয়াল টি বি হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ করা হয় প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ইয়াকুব সর্দার, পিন্টু মডল, তপন কর্মকার সহ অনেকের সহযোগিতায়।হাসপাতালের সব বিভাগে গিয়ে রোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফল ও জল।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2019/08/15th-Aug-T-B-Hosp_Pallab-Kanti-Ghosh-Final-1-1024x306.jpg)
এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই কিন্তু উপস্থিত থেকে এমন একটা মহৎ কাজে রোগীদের হাতে ফল, বিস্কুট, কেক ও জলের বোতল তুলে দেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও দঃ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লব কান্তি ঘোষ, বোড়াল টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাই কর্মকার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মিঠুন মিত্র সহ অনেকে।এধরনের কাজ সচারচর দেখা যায় না। সত্যিই এই রোগীরা খুবই প্রয়োজন এই ধরনের খাদ্যের আর পল্লব কান্তি ঘোষ সারা বছর এই ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন। তিনি চেষ্টা করেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে, তাই কখনও তিনি কঠিন রোগের ওষুধ, কখনও ছানি অপারেশান, কখনও চশমা বিতরণ, কখনও ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা,
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2019/08/15th-Aug-T-B-Hosp_Pallab-Kanti-Ghosh-Final-1024x616.jpg)
আবার কখনও রক্তদান শিবিরের ও বিনা খরচে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে থাকেন।বর্তমানে বহু তৃণমূল নেতৃত্বের পল্লব কান্তি ঘোষের সারা বছরের কর্মসূচী থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত কিভাবে জনসংযোগ রাখতে হয় এবং দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রেখে প্রচার করতে হয় আর তাই তিনি নিজের উদ্যোগে সারা জেলায় নিজের খরচে দলীয় মুখপত্র “জাগো বাংলা” ইতিমধ্যে বিক্রি করার উদ্যোগও নিয়েছেন।এই অনুষ্ঠান নিয়ে উদ্যোক্তা অরুণ রায় জানান, যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মানুষের সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নের জন্য বহুধরনের প্রকল্প চালু করেছেন সেখানে আমরা যদি এই অসহায় মানুষদের পাশে সামান্য একটু ফল, বিস্কুট, কেক ও জল তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারি তার থেকে বড় তৃপ্তি আর কিছুই হতে পারে না।যেকোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কজে আমাদের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সহযোগিতা যে পাই সেটা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। তিনি সোনারপুরের সার্বিক উন্নয়নে সবসময় নিজেকে সামিল থাকেন।এছাড়া আমাদের সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব পল্লব কান্তি ঘোষের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য সারা বছরের কর্মসূচী আমাকে অনুপ্রাণিত করে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।