প্রথম পাতা

শুভেন্দুর গড়ে গিয়ে এবার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক, “তুমি অকৃতদার নও, তুমি অকৃতজ্ঞ”

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, মেদিনীপুর, ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ : আজ কাঁথিতে রাজ্যের একসময় গুরুুুুুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ও মেদিনীপুরের ভূমিপুুুুত্র শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে গিয়ে এবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, শুভেন্দুর এখন আমি আতঙ্ক হয়ে গেছি। রাতে ঘুমের মধ্যেও হয়তো ভাইপো বলে চেঁচিয়ে যান, যাকে বলে নাইট মেয়ার।

আজকের সভায় যতসংখ্যক মানুষ এসছেন তার তিনগুণ মানুষ এখনও রাস্তায় আছেন।অভিষেক বলেন, মূলত কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মানুষ এখানে এসেছেন। আপনারা যদি ভোট দেন তাহলেই তো মীরজাফর এন্ড কোম্পানির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। এই মাঠে যা লোক এই মাটিকে প্রণাম জানাই।এই মেদিনীপুরে মাটি লড়াই সংগ্রামের মাটি। যারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাটি, মাতঙ্গিনী হাজরার মাটি, সতীশ সামন্তের মাটিকে কলুষিত করেছে তাদের কিন্তু এই মেদিনীপুরের মানুষ ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন। ৫ কিলোমিটার দূরে শান্তিকুঞ্জ সেটা যেন থরথর করে কাঁপে। তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০ এর বেশি আসন পেয়ে এই বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে এবং বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমি এদের রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া করে ছাড়ব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে ভরসা করেছিলেন তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। পাঁচ বছরে কতবার মোদী অমিত শাহ মেদিনীপুর এসছেন। হলদিয়া আসছেন মোদী। কিন্তু তাও আমরা ৫০,০০০ এর বেশি ভোটে জিতব। এই মেদিনীপুরের মাটি থেকে দাঁড়ালে মেদিনীপুরের মানুষ ৫০,০০০ ভোটে হারাবে। কীসের অধিকারী গড়? এই জেলা মানুষের কোনও পরিবারের নয়।এই গড় ক্ষুদিরাম বসু সুশীল ধাড়ার গড়। আমাকে ভয় দেখাবেন বলেছিলেন, চার আনার নকুলদানা তার আবার ক্যাশমেমো। জামানত বাজেয়াপ্ত করব। কথা দিলাম এদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে এই মেদিনীপুরের মানুষ।

ভাইপো আর ভাইপো। ওরা আতঙ্কিত। এখন আমার স্ত্রীর কথা বলছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি সোনা পাচারের ঘটনায় ওদের সিআইএসএফ কী করছিল? সিসিটিভি ফুটেজ দাও। আমার তোলাবাজির প্রমাণ দেখাতে পারলে নিজে ফাঁসি যাব। সুদীপ্ত সেন নিজের হাতে কোর্টকে লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। শুভেন্দু রাখাল বলে একজনের সাথে আলাপ করিয়েছেন। কে এই রাখাল? এই রাখালের সাথে এনামুলের কী সম্পর্ক সব জানি আমরা, সব তথ্য আছে? রাখালের সাথে এই গরু পাচারকারীদের কী সম্পর্ক? যারা স্বর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা এই গদ্দারদের বাড়ি ঘিরে দিন। ১৮ লক্ষ মানুষ জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছেন। যমের দুয়ারে সরকার বলছে ঠিকই। সরকারটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের যম।কেন গা জ্বলছে? অবজারভার তুলে দেওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ মালদার অবজারভার ছিল। কিন্তু জেলা চালাবে জেলার নেতা। অবজারভার মডেল তুলে দিতেই গায়ে জ্বালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *