প্রথম পাতা

আমাদের বেআইনি বাড়ি নির্মানের খবরের জেরে স্বক্রিয়তা দেখালো নরেন্দ্রপুর থানা, ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিল পৌরসভা

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ৫ই মে ২০২২ : আমরা রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে নবগ্রাম এলাকায় মিডিল রোডে সেকেন্ড লেনে হোল্ডিং নং ৪৩২ যে বেআইনি বাড়ি নির্মানের কাজ চলছে সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম। এই খবরের জেরে নরেন্দ্রপুর থানা আজ সকালে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে পুলিশ পাঠায়। পুলিশ এসে বাড়ি নির্মানের যারা দায়িত্বে ছিল তাদের সাথে কথা বলে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রশান্ত ঘোষ প্রথমেই প্ল্যান দেখতে চায়। পুলিশের সামনে উপস্থিত থাকা রাজা (কৌশিক কর) এবং গড়িয়া ৪ নং ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনী-র সুপ্রিয় দে (বাপ্পা) জানায় তিন তলার কোন অনুমোদিত প্ল্যান নেই। তদন্তে আসা পুলিশ অফিসার প্রশান্ত ঘোষ অবিলম্বে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

রাজা জানায় এই নির্মানের দ্বিতল বাড়ির প্ল্যান আছে তবে তিন তলার জন্য রিভাইজ প্ল্যান করতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন ৮ ফুট রাস্তার উপর তিন তলার রিভাইজ প্ল্যান কিভাবে অনুমোদন দেবে পৌরসভা? এব্যাপারে পৌরসভার তরফে পৌর প্রধান ডাঃ পল্লব দাস জানান সোমবার ছুটি থাকার ফলে মঙ্গলবার পৌরসভাগত ব্যাবস্থা গ্রহণ হবে। ডাঃ পল্লব দাস জানান, পৌরসভায় কোন বেআইনি নির্মান কাজ চলবে না। তবে আজ পুলিশ আসায় আশেপাশে থাকা বাসিন্দারা এই বেআইনি নির্মান নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। পরিস্কার বোঝা গেল বাসিন্দারাও এই বেআইনি নির্মানকে মেনে নিতে পারছিলেন না, কিন্তু শাসক দল জড়িত থাকার ফলে কিছু বলতেও পারছিলেন না। তবে এব্যাপার স্থানীয় পৌরপিতা বিভাস মুখার্জিকে জানানো হলে তিনি শুধু এলাকার একজনের লিখিত অভিযোগের খোঁজ করেছেন কিন্তু কারও থেকে একটা লিখিত অভিযোগ নেওয়ার উদ্যোগ দেখা যায় নি। তিনি আমায় এলাকার একজন অভিযোগকারীকে খুঁজে দেখার দায়িত্ব দেন। এতকিছুর পর তিনি কেন প্রশাসনের সাহায্য নিলেন না? প্রশ্ন এখানেই। গতকাল রাতে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে অভিযোগকারীর খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারি গত ২১শে এপ্রিল রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার হেড অফিসে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। তবে কার গাফিলতিতে এখনও কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হল না? বড় প্রশ্ন এখানেই।

এবার এই সংবাদ করতে গিয়ে আরেকটা মারাত্মক অভিযোগ আমাদের সামনে এলো যা আমরা আগামীদিনে প্রকাশ করতে চলেছি। কিভাবে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে পৌরসভার চোখে ধুলো দিয়ে ওয়ার্ডে এধরনের বেআইনি নির্মান কাজ চলছে শুনলে চমকে উঠতে হবে। ওয়ার্ডে এই মুহুর্তে কেউ নেই এই বেআইনি নির্মান কাজ দেখার জন্য। তবে কেন ওয়ার্ডে কমিটি তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হল না? শোনা যাচ্ছে সুধাংশু পট্টনায়ক-কে দায়িত্ব দিয়েছেন খোদ পৌরপিতা বিভাস মুখার্জি, এখন তার ভুমিকা নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃত্বের অনেকে প্রশ্ন তুলছে। সেই দায়িত্ব কতটা বৈধ তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *