প্রথম পাতা

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে তৃণমূল সরকার থাকবে, বিজেপি হালে পানি পাবে না বুঝিয়ে দিল ২১শে জুলাই মঞ্চ

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২১শে জুলাই ২০১৯ : ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ১৮টা সাংসদ পেতে বিজেপি মনে করে নিয়েছে রাজ্যের ক্ষমতা পেয়ে গেছে। কিন্তু সেটা যে কতটা ভুল তা বিজেপি বুঝতে পারবে।বিজেপি তৃণমূল থেকে মুকুল রায়কে দলে নিয়ে ভাবলো গোটা তৃণমূল দলটাকে ভেঙে তছনছ করে দেবে। সে রাস্তাতে চলতেও শুরু করছিল। মুকুল রায় নিজে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজেকে প্রমাণ করতে সুনীল সিং ও অর্জুন সিং-কে দলে নিলেন।অর্জুন সিং-কে দলে নিয়ে কাঁচরাপাড়া পুরসভা থেকে ভাটপাড়া পুরসভাকে অশান্ত করে তুলেছেন। গোটা এলাকা উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়ে এলাকা দখলের খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা কতদিনের জন্য, যেসব কাউন্সিলাররা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। মুকুল নিজেকে প্রমাণ না করতে পেরে এখন মাঝে মাঝে ফাঁকা হাওয়ায় হুংকার দিয়ে ঘোষণা করছেন খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূল ছেড়ে ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে আসছে। তারা আমাদের সাথে প্রায়ই যোগাযোগ করছেন।কিন্তু ৩ মাস হয়ে গেল একজনও বিধায়ক যোগ দেয় নি। এতেও যখন মুকুল কিছু করতে পারল না তখন হুংকার ৩০ জন সাংসদ যোগ দিচ্ছে। তিনি কিছু না করতে পারলেও তৃণমূলের ঘরে অশান্তি ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। তিনি এমন করছেন যাতে তৃণমূল নেত্রী সকলের উপর সন্দেহ করতে শুরু করে। যেমনটা ঘটেছে সব্যসাচী দত্ত-র ক্ষেত্রে ঘটেছে। বহুবার তাকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছে সব্যসাচী বিজেপিতে যাচ্ছে। কিন্তু সব্যসাচী কোথায় গেছে বিজেপিতে।শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও একইভাবে বিতর্কের ঝড় তুলেছে, বিজেপিতে যোগ দেবে। বৈশাখীর হাত ধরে শোভন যোগ দিচ্ছে বিজেপিতে। শোভন তৃণমূল থেকে চলে গেছেন কিন্তু এখনও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাহস দেখান নি। কিন্তু এটা মুকুল রায় জানেন না ২০২০ সালের আগেই মুকুলকে বিজেপি থেকে ছিবড়ে করে ফেলে দেবে। মুকুল ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে কখনই মিল হবে না। আর আর এস এস ছাড়া বিজেপি কিছুই বোঝে না। প্রথম অবস্থায় মুকুল যেভাবে বুঝিয়েছে সেভাবে বুঝেছে রাজ্য বিজেপি কিন্তু এখন বিজেপি নিজের কায়দায় বুঝতে শুরু করেছে। এখন তৃণমূল থেকে কাউকে সেভাবে অনুমোদন ছাড়া নেওয়া হচ্ছে না। প্রথমে বিজেপি ঘোষণা করে তৃণমূল থেকে যে যোগ দিতে আসবে তাকে কাটমানি ফেরত দিয়ে আসতে হবে।বিজেপি এটাতেই প্রমাণ করে দেবে যে কারা যোগ দিতে আসছে বিজেপিতে। এরপর বিজেপি বুঝে গেছে ধান্ধাবাজরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে আসছে। যারা নতুন করে অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে আসছে তারা বিজেপির রাজনৈতিক নীতি নষ্ট হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি আন্দোলন শুরু করেছে ইভিএম নয় ব্যালটে ভোট করতে হবে। সাম্প্রতিক ইভিএম মেশিনে লোকসভা ভোট হওয়ার পর ফের সেই সব রাজ্যে ব্যালটে ভোট হয়েছে যেমন কর্নাটকে পুরসভা, রাজস্থান জেলা পরিষদ, উত্তরাখন্ডে বিজেপি হেরেছে।আজ ২১শে জুলাই-এর ২৬ বছরের পুর্তীতে ব্রিগেড সমাবেশ প্রমাণ করে দিল ২০২১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার করবে। বিজেপি হয়তো মুকুলের মত কিছু তৃণমূল নেতাকে দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, অর্জুনের মত নেতাকে দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিধানসভায় কয়েকটা আসন বেশি পাবে কিন্তু তাতে সরকার গঠন করতে পারবে না কারণ তাদের মন্ত্রীদের লাইনআপ নেই। কে হবে মুখ্যমন্ত্রী, কে হবে পরিবহণ মন্ত্রী, কে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কে হবে অর্থমন্ত্রী? এর কোন উত্তর নেই রাজ্য বিজেপির কাছে। ছবি : পাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *