বিধানসভাকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বড় ঢাল স্বাস্থ্য সাথী, যাদের কোন স্বাস্থ্য বীমা নেই তারাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৬শে নভেম্বর ২০২০ : স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের আওতায় না থাকলে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের প্রত্যেক পরিবার। আজ নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক জনমুখী প্রকল্পের ঘোষণা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এবার রাজ্যের সব স্তরের মানুষ এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে আসবে ঠিকই কিন্তু যাদের কোন স্বাস্থ্য বীমা নেই শুধুমাত্র তারাই এই সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাদের কোন রকমের স্বাস্থ্য বীমা নেই তাঁরা সকলে এবার থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। এই প্রকল্পের ফলে বাংলার প্রায় ৭ কোটি মানুষ সুবিধা পাবেন। রাজ্যের এই প্রকল্পে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমার ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি হাসপাতালে যদিও মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসা বিনা পয়সায় করে দিয়েছেন তবে বেশ কিছু চিকিৎসা আছে যা সরকারি হাসপাতালে তো বটেই বেসরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ খরচ দিতে হয়। এই প্রকপ্লের ফলে এবার বেসরকারি হাসপাতালেও এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কারণে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আরও জানান, আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের স্মার্ট কার্ড চালু হয়ে যাবে। পরিবারের একজন মহিলার নামে এই কার্ড করানো যাবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খুব তাড়াতাড়ি চালু হচ্ছে “দুয়ারে দুয়ারে” সরকারি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে ও পৌরসভাগুলোয় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। যারা এই সুবিধা নিতে চাইবে তাঁদের নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে চমক দিলেন রাজ্যবাসীকে। বিরোধীদের সমালোচনার মুখে উচিত জবাব দিয়েছেন বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক মহল।সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, সমব্যাথী-র পর স্বাস্থ্য সাথীর এই ঘোষণা রাজ্যের মানুষকে অনেকটা স্বস্তি দিল।ছবিঃ চুনি পাল।