রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডে নান্টির দাদা ছোটন ঘোষের মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার, এলাকায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৭শে জুন ২০১৯ : গতকাল রাত থেকে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডের রানিয়া এলাকার বাসিন্দা নান্টি ঘোষের দাদা ছোটন ঘোষ (৪২) পিতা জয়দেব ঘোষ নিখোঁজ ছিল। সারাদিন স্থানীয় থানা সহ আশেপাশের সব থানায় তার খোঁজ করা হলে কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। হঠাৎ রাত ৮টা নাগাদ খবর আসে রানিয়ায় ৩০ ফুটের সামনের পুকুরে একটা মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। ছোটনের পরিবারের লোকেরা গিয়ে সেই দেহ সনাক্ত করে। প্রায় ছোটন রাতে কোন বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যায় ভেবে গতকাল রাতে তার খোঁজ করে নি পরিবারের সদস্যরা। নান্টি হল হরিদেবপুর কান্ডের মূল অভিযুক্ত ছিল কিন্তু ইদানিংকালে নান্টি নিজেকে অনেক পরিবর্তন করেছে বলে এলাকার মানুষ জানায়। নান্টি বর্তমানে নিজেকে সমাজসেবার মধ্যে নিয়োজিত করেছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় সমাজবিরোধীদের তান্ডব চলছে বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করে। কোথাও দোকানে বোম ফেলছে, কোথাও রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে।সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপি ভাল ভোটে জয়ী হয়। এরপর থেকেই ওয়ার্ড অশান্ত হয়ে ওঠে বলে এলাকার মানুষ জানায়। এলাকায় এই মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য। এলাকার মানুষের মতে পুরানো শত্রুতার জেরে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ছোটনকে। কারণ ছোটন ভাল সাঁতার জানতো তাই ডুবে মারা যাওয়ার কথা নয়। এলাকার মানুষ মনে করছে কেউ ছোটনকে মদ খাইয়ে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষ এখন মনে করছে এই মৃত্যু আবার এলাকাকে আরও অশান্ত করে তুলবে।