গড়িয়া স্টেশন এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, আতঙ্ক বাড়ছে গোটা সোনারপুর উত্তরে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৪ঠা জুন ২০২০ : লকডাউন চলাকালীন গড়িয়া স্টেশন চত্বরের এলাকাগুলোতে মানুষকে হাজার সচেতন করা হলেও মানুষের উদাসীনতা আজ সকলের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সকলেই বারবার করে সতর্ক করেছেন মানুষকে করোনা রুখতে বাড়িতে থাকার কথা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে, মাস্ক পড়তে কিন্তু এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ এতটাই উদাসীন ছিল যে আজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডল এবং বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম যেখানে গিয়েছেন সেখানেই এই সতর্কতা নিয়ে আগেই সচেতন করার চেষ্টা চালিয়েছেন।কিন্তু সেই সময় মানুষের কোন সতর্কতাই কর্নপাত হয় নি। আজ নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২২ (থানা সূত্রে খবর)। আর গড়িয়া স্টেশন এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৮জন আক্রান্ত যার মধ্যে সূত্র খবর অনুযায়ী সুস্থ হয়েছেন ২জন এবং মারা গেছেন ৩জন।
বাজার এলাকায় সামাজিক দুরত্বের কোন গুরুত্বই নেই মানুষের মধ্যে। মাংসের দোকানে মানুষ একেবারে ঝাপিয়ে পড়ছে যেন আর মাংস পাওয়া যাবে না। পুলিশ প্রশাসন বহুবার ব্যবসায়ীদের সচেতন করেছেন, মানুষকে সচেতন করেছেন কিন্তু কে কার কথা শোনে। সকলের মধ্যে ভাবটা এমন এখানে কিছুই হবে না। কিন্তু আজ সেই চিত্রটা একেবারে বদলাতে চলেছে। মাত্র দুদিনে ৩জন নতুন করে ফের আক্রান্ত হয়েছেন যদিও দুজন আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালে গিয়ে।
রাজ্যে মানুষের রোজগারের কথা মাথায় নিয়ে লকডাউন তুলে দিয়েছে ঠিক কথা কিন্তু মানুষ তো নিজের ভালটা নিজে বুঝবে? লকডাউন তুলে দেওয়া মানে ইচ্ছে মত চলবো তা কিন্তু নয়। মহামারীর রূপটা এখনও একই আছে। সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক চেষ্টা চালিয়েছেন মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে, বাড়িতে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়ে। সরকারকে দোষারোপ করে লাভ নেই, সরকারের প্রতিনিধিরা তো এলাকায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন কিন্তু মানুষ কি তাদের সাথে সহযোগিতা করেছেন? প্রশ্নটা এখানে। এখনও যদি মানুষ সচেতন না হয় তবে গড়িয়া স্টেশন এলাকা এক ভায়াবহ রূপ নিতে চলেছে। এখনও সময় আছে সজাগ হওয়ার। জুন ও জুলাই খুবই কঠিন দুটো মাস।মানুষ যদি এখনও নিজেকে সচেতন না করতে পারে তবে আগামীদিন খুব ভয়াবহ হয়ে উঠবে।সরকার আনলক ঘোষণা করেছে মানে কিন্তু এই নয় যে সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সরকার মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি দেখে বাধ্য হয়েছে আনলক করতে