করোনা দু্র্জোগে রাজপুর সোনারপুরে ৩২ নং ওয়ার্ডে দুঃস্থ মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৩রা এপ্রিল ২০২০ : সারা বিশ্বে করোনার থাবা যেভাবে প্রকট হয়ে উঠছে যে ২০৪টা দেশের মানুষ আতঙ্কে ভুগছে। এই পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৬ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে মারা গেছে ৫৩১৯০ জন এবং ২ লাখ ১২ হাজার ১৮ জন সুস্থ হয়েছেন। করোনায় মৃতের সংখ্যায় প্রথম দেশ ইতালিতে মারা গেছেন ১৩,৯১৫, স্পেনে মারা গেছেন ১০৬৯০, আমেরিকা মারা গেছেন ৫১৬৮জন, ফ্রান্সে মারা গেছেন ৪৫০০জন, ইরানে মারা গেছে ৩১৬০জন, ব্রিটেনে মারা গেছে ২৯১২ জন,জার্মানিতে মারা গেছে ১১০৪জন এবং ভারতে মারা গেছে ৫৬জন। ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩০১ কিন্তু সুস্থ হয়েছেন ১৫৭ জন। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ এবং মারা গেছেন মাত্র ৭ কিন্তু সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। তবে আগামী দুটো সপ্তাহ আমাদের জন্য খুবই মারাত্মক হতে পারে। এই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে।
এরকম অবস্থায় মানুষ বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছে কারণ সারা দেশে এখন লকডাউন পরিস্থিতি। মানুষের খাদ্য অভাবের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। তাই রাজ্যে সরকারের প্রতিনিধিরা নিজস্ব এলাকায় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন রাজ্যের মানুষদের হাতে। আজ রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩২ নং ওয়ার্ডে বোড়াল জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরুণ রায়-এর উদ্যোগে এবং ৩২ নং ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি প্রসেঞ্জিত বিশ্বাসের সহযোগিতায় প্রায় ৩০০ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল, বোড়াল টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাই কর্মকার এবং সোনারপুর উত্তর বিধানসভার জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি বিশ্বজিত দাস (নন্দ)।
আজকের অনুষ্ঠানে মানুষের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে নজরুল আলি মন্ডল বলেন, এই রোগটা খুবই বাজে। এটা যদি আমার শুধু হত তবে আমরা এতবার করে অনুরোধ করতাম না। কিন্তু এই রোগটা আমার থেকে আমার পাশে থাকা মানুষটির মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে, সেখান থেকে আরও সংক্রামিত হতে পারে। মানে একজনের থেকে শতাধিক কি তার বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা সকলকে সতর্ক করছি যাতে কেউ কারও কাছাকাছি না থাকেন, বাড়িতে থাকেন। এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আপনাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছি মানে এই নয় আপনাদের দয়া করে দান করছি। এখানে অনেকে গরীব পরিবার আছেন যারা রোজ বাইরে না গেলে সংসার চলবে না। অনেকের পরিবার আর্থিক ভাবে দুর্বল, অনেকের ঘরে খাবার নেই, তাই আমরা তাদের শুধুমাত্র সাহায্য করছি।অনেকে আমাদের এই সাহায্য করাকে রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে। আমরা কিন্তু এই সাহায্যের পিছনে কোন রঙ দেখছি না। আমরা দলমত নির্বিশেষে, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে সাহায্য করছি।