করোনা দুর্জোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নীল-তানিয়া জুটি বুঝিয়ে দিল সেবার কোন ধর্ম হয় না, রঙ হয় না, মানুষের সেবাই সেরা ধর্ম
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৪ঠা এপ্রিল ২০২০ : দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকার কথা আদর্শ হিসাবে নিয়েছে শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দেখে, এই কথাগুলো নীল মালাকার বলছিলেন টালিগঞ্জ রোডের ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে।রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮১ নং ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষক নীল মালাকার এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাই ৮১ নং ওয়ার্ড তাঁর মন প্রাণ। এই করোনা দুর্জোগের সময় এই ৮১ নং ওয়ার্ডের দুঃস্থ বাসিন্দাদের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন নীল ও অভিনেত্রী এবং সমাজসেবিকা তানিয়া পাল।
গোটা ৮১ নং ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে দুঃস্থ মানুষদের চিহ্নিত করে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন দুজনে। কোথাও খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার জন্য অসংখ্য মানুষ একত্র হতেই নীল সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করে ওয়ার্ডের অন্যত্র গিয়ে মানুষকে সামগ্রী তুলে দেয়। নীল জানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশিকা দিয়েছে তা মানতে পারলেই মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেব। এটা দেওয়া মানে এই নয় করোনাকে স্বাগত জানাবো।
মানুষকে বুঝতে হবে করোনা প্রতিরোধের জন্য সামাজিক দুরত্বের কতটা প্রয়োজন। রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি ও সায়নদেব চ্যাটার্জিও উপস্থিত ছিলেন। নীল জানান, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জির সহযোগিতায় এই মহতী অনুষ্ঠান সম্ভব হয়েছে। প্রায় ৭০০ মানুষকে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া নীল ও তানিয়া টালিগঞ্জ রোডে এক পুরাতন মন্দিরে থাকা বেশ কিছু ফুটপাথবাসীকে নিজে হাতে মধ্যাহ্নভোজ করান।
তানিয়া জানায়, আমি কোনদিন এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হোই নি। তবে যে ভয়ংকর মহামারীর সম্মুখীন হয়েছে গোটা বিশ্ব তাতে নিজেদের অস্থিত্ব নিয়ে সকলেই আতঙ্কিত, যার বাইরে ভারতবর্ষ নয়। এখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে মানুষের কথা চিন্তা করছেন, মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করছেন তা প্রকাশের কোন ভাষা নেই। তিনি আমার আজকের পরিস্থিতিতে একমাত্র আইকন। কথায় আছে মানুষ ভগবানকে চোখে দেখে নি, তবে ভগবান মানুষের মধ্যের দেখা যায়, যার একমাত্র উদাহরণ মমতা ব্যানার্জি। তিনি এই সময় কোন ধর্ম, বর্ন, রাজনৈতিক রঙ বিবেচনা না করে মানুষের জন্য ঝাপিয়ে পড়েছেন।