করোনার জেরে লকডাউনেও রাজপুর সোনারপুরের পৌরপিতা তরুণ কান্তি খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি করছেন উন্নয়নের কাজও
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৪ই মে ২০২০ : করোনার জেরে গোটা রাজ্য এখন লকডাউনের আওতায়। মানুষ তৃতীয় দফার লকডাউনে গৃহবন্দি অবস্থায়। একদিকে খাদ্যের অভাব আর অন্যদিকে অর্থের অভাব, দুটোতেই জেরবার রাজ্যের মানুষ। সব থেকে বড় আতঙ্ক করোনার মৃত্যুর থাবা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে যেমন আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৭৩ এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৮।এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তিনটে জোনে ভাগ করা হয়েছে। রেড, অরেঞ্জ ও গ্রীন। তার মধ্যে নতুন আক্রান্তের নিরিখে সোনারপুর এখন রেড জোনের মধ্যে।
এর মধ্যেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লকডাউন পরিস্থিতিতে কিছু পেশায় শিথিল করেছেন যেমন রাজমিস্ত্রি। আর এই ঘোষণার সাথে সাথে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছেন। লকডাউনে মানুষের খাদ্যের অভাব যেমন মেটাচ্ছেন তেমনই পাশাপাশি সাধ্য মত উন্নয়নও করছেন। সাম্প্রতিক বর্ষা আসার আগে নবগ্রামের একটা অংশে ড্রেনের কাজে হাত দিলেন পৌরপিতা তরুণ। প্রায় ২৫০ ফুটের ড্রেন নতুন করে করার উদ্যোগ নিলেন পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল। একদিকে তিনি ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় কোন ক্লাব বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা কোন সমাজসেবী সংস্থার মাধ্যমে মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন, ঠিক তার পাশাপাশি উন্নয়নের কাজের তদারকিও করছেন। কাজের জায়গায় এসে নিজে সরজমিনে পরিদর্শন করে যাচ্ছেন উন্নয়নের কাজ। এলাকার মানুষ এই লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে ড্রেনের কাজ হওয়াতে বর্ষার সময় অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন।এই অঞ্চলে ড্রেন না থাকার ফলে একদিকে যেমন বাড়ির নোংরা জল নিকাশি নিয়ে ছিল সমস্যা আবার বর্ষার সময় ছিল জলমগ্ন হয়ে পড়ার সমস্যাও ছিল।এখন লকডাউনে সময় এই দুই সমস্যা থেকে মানুষকে নিস্তার দিলেন পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল।বিগত ১০ বছরে এই অঞ্চলে দ্বিতীয়বার উন্নয়নের কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।এর আগেও এই অঞ্চলে মেন ড্রেনের কাজ হয়েছিল।এখন এই অঞ্চলের রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ বাকি আছে বলেও অভিযোগ করে এলাকার মানুষ। আজও এই রাস্তা এক কথায় বলতে গেলে কাঁচা রয়েছে।