টলিউড শিল্পীদের বাঁচাতে ই আই এম পি সি সি, অরূপ-স্বরূপ বিরূপ হলে কিছু আসে যায় না : জয়প্রকাশ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৯শে জুন ২০১৯ : টলিউডে একটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে প্রসঞ্জিত চ্যাটার্জি নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। সাম্প্রতিক মহেশ্বরি সদনে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন-এর আত্মপ্রকাশ ঘটলো। এদিন সংগঠনের এক সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ জর্জ বেকার, জয়প্রকাশ মজুমদার, বাবান ঘোষ (চেয়ারম্যান), ফ্যাশন ডিজাইনার ও সংগঠনের সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল, সংঘমিত্র চৌধুরী (নির্দেশক ও সংগঠনের সহ সভাপি), যুগ্ম সম্পাদক সাধন তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক অরুণাভ মজুমদার, ডাঃ অর্চনা মজুমদার, নিগম চক্রবর্তী, সুরকার অশোক ভদ্র, অভিনেতা সুরজিত চক্রবর্তী, অভিনেতা সুমন ব্যানার্জি সহ টলিউডের অশংখ্য ছোট বড় কলাকুশলী, নির্দেশক ও টেকনিশিয়ানরা।বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাধন তালুকদার বলেন এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় আজ থেকে চার বছর আগে। আমরা চাই যে জুলুম চলছে টলিউডের শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের সাথে তা বন্ধ হোক। আমরা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন যারা এই অসহায় কলাকুশলী, টেকনিশিয়ান ও নির্দেশকদের পাশে দাঁড়াতে চাই। সংঘমিত্র চৌধুরী বলেন, আমি একটা সিনেমা বানিয়ে বসে আছি মুক্তির জন্য। আমি তৃণমূল করি না তাই আমার ছবি মুক্তি পাবে না। বর্তমানে নিয়মটা হয়েছে তৃণমূল করলে কাজ পাবে। মিছিল বা সভা থাকলে সেদিন কাজ বন্ধ থাকবে। তৃণমূল করলে তারা শুধু ছবি বানাতে পারবে ও মুক্তি পাবে। আমরা এই জুলুম বা অত্যাচার থেকে টলিউডকে মুক্ত করতে চাই। আমরা মুখ দেখে সদস্য করবো না, আমরা দেখবো কাজটা জানেন কিনা। আমরা কোন রং দেখবো না। জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমরা আন্দোলন করবো, সংগঠনের মধ্যে দিয়ে সকলের অধিকার ফিরিয়ে দেবো।এতে হয়তো অরূপ-স্বরূপ বিরূপ হবে তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো দলতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা ফিরিয়ে দেবো মুক্তিতন্ত্র। তিনি বক্তব্যের শুরুতে ও শেষে “ভারত মাতা কি জয়” স্লোগান তোলেন। এখানেই পরিষ্কার হয়ে গেল যে এটা অরাজনৈতিক সংগঠন নয়।তিনি তার বক্তব্যে কাটমানির কথাও তোলেন। তবে এটা বলতে হবে এদিন সভাগৃহে ছিল উপচে পরা ভিড়। অনেকেই বর্তমান শাসকদের বিরুদ্ধে আস্থা হারিয়েছে বলে বোঝা গেল। আবার অনেকে সামনে না এলেও ঘটনাকে উপলব্ধি করতে এসেছে বলেও দেখা গেল।