আমফান দুর্গতদের মুখে হাসি ফোটালেন সোনারপুর উত্তরের মানবিক বিধায়ক ফিরদৌসী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৮শে মে ২০২০ : একে করোনার জেরে লকডাউন তার উপর আমফান, মানুষের দিশাহারা হয়ে অসহায় অবস্থা।একে মানুষের রোজগার নেই, তার সাথে খাদ্যের অভাব। যদিও রাজ্য সরকার রেশনে যে পরিমান চাল দিয়েছে তাতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও আমফান ঘুর্নি ঝড় মানুষকে আরও অসহায় ও নিঃস্ব করে দিয়েছে।এতদিন মানুষের খাদ্য সঙ্কট ছিল কিন্তু এবার সেই সঙ্কটের সাথে বাড়লো নিজের ও পরিবারের থাকার সঙ্কট। আমফান ছাদ থেকে ঘর সব ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। বিশেষ করে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটু গ্রামের দিকে অর্থাৎ পঞ্চায়েত এলাকায়। শহরেও হয়েছে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বিশাল।
এরকমই সোনারপুর উত্তর বিধানসভা অন্যতম। সাম্প্রতিক মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর বিধানসভায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব জানার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সব রকম সাহায্যের জন্য বলে দেন এবং সেইমত বিধায়কের সাথে প্রয়োজনীয় দপ্তরগুলো যোগাযোগও করে।সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাঁচটা পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটে পঞ্চায়েত এলাকায় যার মধ্যে রয়েছে খেয়াদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত, খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ও কামরাবাদ পঞ্চায়েত। এখানকার অধিকাংশ মানুষ মৎস্যজীবী ও চাষ করে খেটে খাওয়া মানুষ।এই পঞ্চয়েতগুলোতে অধিকাংশ বাড়ি কাঁচা ও টিনের বা অ্যাসবেসটারের ছাদ। বহু কাঁচা বাড়ি এখানে ভেঙে গেছে এবং বহু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। এই অবস্থায় মানুষ পরিবার নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে।
মানুষের এই অসহায়ের সময় মুখে হাসি ফোটালেন এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। তিনি মানুষের পাশে বিপদে কতটা মানবিক তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। আজ তিনি এই তিনটে পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন বুথে গিয়ে মানুষের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন, প্রয়োজনে পরিস্থিতি পরিদর্শনও করেন। পঞ্চায়েত অফিসে বসে প্রধান ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এক প্রকার প্রশাসনিক বৈঠক সারেন।
আজ বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম এই তিনটে পঞ্চায়েতে প্রায় ২০০ জনকে সরকারি সাহায্যের ত্রিপল বিতরণ করেন। বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সাথে ছিলেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি প্রবীর সরকার, সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধক্ষ্য শশধর হালদার, সুশীত ঘোষাল, প্রধান গোঁরাচাঁদ নস্কর, উপপ্রধান শীমা মুজুমদার, জেলা পরিষদ সদস্য রঞ্জন বৈদ্য, কামরাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য সদস্যরা।এই অসহায় সময়ে বিধায়কের কাছ থেকে এই সাহায্য তাদের ফের একবার বাঁচার লড়াইকে জাগিয়ে দিল।