গড়িয়ায় ১ নং ওয়ার্ডে সবুজের পৌরমাতা উঠলেন লাল কার্পেটে, এলাকায় চাঞ্চল্য, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি : সাম্প্রতিক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের উদ্যোগে এক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল পঞ্চসায়ার পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে। শ্রীনগর পশ্চিমপাড়া প্রভাতী সংঘের পরিচালনায় এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। এলাকা বর্তমানে তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার ফলে সব ক্লাব এখন তৃণমূল পরিচালিত।সেই হিসাবে এই ক্লাব তৃণমূল পরিচালিত হওয়া উচিত। ক্লাবের পক্ষ থেকে অমর কুমার দাস, মৃত্যুঞ্জয় দাস ও শুভ্র বিশ্বাসের নাম উল্লেখ ছিল ব্যানারে। এই অঞ্চলের তৃণমূলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দীর্ঘদিনের ডানপন্থী মানুষ মনোরঞ্জন মির্ধার উপর। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের সাথে যুক্ত তাও বহুবছর হয়ে গেল। কিন্তু এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মঞ্চ হয় যেখানে ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। হঠাৎ সেখানে মঞ্চে পাতা কার্পেটের দিকে চোখ পড়তেই অনেকের মাথা ঘুরে যায়। কার্পেটের রং ছিল “লাল” যার উপর সেই সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূলের স্থানীয় পৌরমাতা পাপিয়া হালদার। এমনটা হল কিভাবে, প্রশ্ন উঠছে সকলের মধ্যে। এখন প্রশ্ন হল তবে কি এই এলাকায় বামেদের প্রভাব ফিরে এল। অনেকে বলছেন এই ঘটনা একবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের তেমন কোন প্রভাব নেই। একসময় যে প্রভাব ছিল তবে কি সেই প্রভাবে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে? এই এলাকার একমাত্র নেতা মনোরঞ্জন মির্ধা। তিনিই এলাকার উন্নয়ন থেকে শুরু করে যাবতীয় দলীয় কার্যকলাপ দেখেন। অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে মঞ্চে মনোরঞ্জন মির্ধা উপস্থিত থাকা অবস্থায় কি করে লাল কার্পেটের উপর পৌরমাতা পাপিয়া হালদারকে তুলতে পারলেন? কেন আগে থেকে তার ব্যবস্থা নেন নি নেতৃত্ব। আবার এমনও কথা শোনা যাচ্ছে এই এলাকা একসময় বামেদের দখলে ছিল আজ তাদের অধিকাংশ তৃণমূল হয়েছে।এখন প্রশ্ন উঠছে কিকরে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে লাল কার্পেট দেওয়া হল? নাকি এটা তাদেরই একাংশের মদতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
বর্তমানে মনোরঞ্জন মির্ধার সাথে সাম্প্রয়িক এলাকার দুই তৃণমূল কর্মী রামু কর্মকার ও তীর্থপ্রতিম বিশ্বাসের সাথে বেশ দুরুত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু মনোরঞ্জন মির্ধা এবং রামু ও তীর্থ সকলেই পৌরমাতা পন্থী।দুইপক্ষই পৌরমাতার হাত ধরেই এলাকার উন্নয়ন করছে। তবে দুরত্বের কারণ হিসাবে লড়াইটা কোথায়? গত কিছু স্বার্থের না নব্য বনাম পুরাতনের ক্ষমতা দখলের লড়াই? এদিকে গোটা ওয়ার্ডে মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে মনোরঞ্জন মির্ধা তাঁর স্ত্রী শুভা মির্ধাকে গতবারের মত এবারও পুর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মনোভাব প্রকাশ করেছেন।মানুষ এটাকে ভালভাবে মেনে নিতে পারছে না। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মানুষ বহু বছর পর অপর্যাপ্ত উন্নয়ন চোখে দেখেছে।বামেরা থাকাকালীন উন্নয়ন কাগজে দেখা যেত। ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গায় ঢালাই ও পিচের রাস্তা হয়েছে। শিশুদের জন্য পার্ক হয়েছে। বর্ষার অতিরিক্ত জমা জল নিকাশির জন্য টালি নালার উপর পাম্প লাগানো হয়েছে। রাস্তায় আলো ও সৌন্দর্য্যায়ন হয়েছে। তবে কোন দিকটা তুলে মনোরঞ্জন মির্ধা তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা ভাবলেন এই প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরছে।