বর্ষীয়ান তৃনমূল নেতা মাখন চক্রবর্তীর প্রয়াণে পরিবারের পাশে কেউ না থাকলেও আছে ওয়ার্ড সভাপতি মিঠু দে
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, সোনারপুর, ২৬শে আগস্ট ২০২২ : একসময় মাখন চক্রবর্তীকে সামনে রেখে আজকের অনেকেই ডানপন্থী রাজনীতির হাতেখড়ি দিয়েছেন। তারা একসময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইক ফুকে বলেছেন “মাখন চক্রবর্তী আমাদের অভিভাবক”। একসময় যখন তৃনমূল কংগ্রেস সবে জন্মেছে তখন এমনও হয়েছে আজকের এই নেতারা মুখিয়ে থাকতো কখন মাখন চক্রবর্তী অফিস থেকে ফিরবেন আর চা, মুড়ি-তেলেভাজা আনার কথা বলবেন। আজ তারা অর্থে, সম্মানে প্রতিষ্ঠিত তাই এখন আর সেই দায়বদ্ধতা নেই। আজ আর এই অসহায় পরিবারের পাশে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। গড়িয়া স্টেশনের এক নেতা একসময় এই মাখন চক্রবর্তীকে বাবা-র জায়গায় রাখতেন কিন্তু আজ তিনি নির্বিকার, শুধুমাত্র দায় এঁরাতে নিথর দেহে একটা মালা দিয়েছেন।
সদ্য মাখন চক্রবর্তী ইহলোক ছেড়েছেন তার মধ্যেই পরিবারের মধ্যে সামান্য এক চিলতে সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে অশান্তি। এই সম্পত্তির অধিকার কে পাবে, কে এই সম্পত্তিতে থাকতে পারবে আর কে পারবে না তাই নিয়ে চলছে কাঁটাছেড়া। পিতৃহারা বা ভ্রাতৃহারা হয়ে সেরকম একটা শোকের ছায়া চোখে পড়ছে না। কিন্তু এই ওয়ার্ডের তৃনমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি (নতুন কমিটি না হওয়ার কারণে) হিমাংশু দে (মিঠু) এই শকার্ত পরিবারের পাশে থাকলেন। সকলের সাথে কথা বললেন এবং আগামীদিনে থাকার আশ্বাস দিলেন। মিঠু এব্যাপারে বলেন, আমরা তখন অনেক ছোট, সবে স্কুলের গন্ডি পার করেছি মাখনদা আমাদের হাতে করে রাজনীতি শিখিয়েছেন। তখন থেকে মিছিলে গেছি, দেওয়াল লেখনে সাহায্য করেছি। আজ সেই মানুষটা নেই ভাবতেই কিরকম লাগছে। তার থেকেও আরও খারাপ লাগছে পরিবারের পাশে আজ কেউ নেই। মাখনদা-র একমাত্র সন্তান গত বছর কোভিডে চলে গেছে, এবছর মাখনদা চলে গেলেন, পরিবারটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল।