নিজের জন্মদিনে নিজেই অবাক সাংসদ মিমি
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ : আজ ছিল যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর জন্মদিন। সকাল থেকেই সাংসদ মিমিকে অনেক কিছুই অবাক করে দিচ্ছে।ঘুম ভেঙে চোখ খুলতেই শোনেন এয়ারপোর্টে তাঁর মা ও বাবা হাজির মেয়ের সাথে জন্মদিন পালন করতে। সকালটা যদি এমন হয় তবে কার মুড না ভাল থাকে। সকলের কাছেই মা বাবার আশির্বাদ সব থেকে বড়, মিমির কাছেও তাই। আজ যা কিছু সবটাই তাদের দৌলতে, তাদের আশির্বাদে মনে করেন মিমি।এরপর বেলা এগোতেই তাঁর আপ্তসহায়কের উদ্যোগে বার্থ ডে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল মিমির কসবার ফ্ল্যাটে। সবটাই ছিল চুপিচুপি, শুধুমাত্র তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য।
বেলা ৩.৩০ থেকে গুটিগুটি পায়ে সব আমন্ত্রিতরা একে একে উপস্থিত হতে থাকেন। উপস্থিত হন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অধ্যাপক জীবন মুখার্জি, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তথা সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল, ২৫ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা সোনালী রায়, বিজিত রায়, জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জন বৈদ্য, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার যুব তৃণমূল সভাপতি পাপাই দত্ত সহ জেলা পরিষদের আরও কিছু সদস্য এবং মিমি চক্রবর্তী ফ্যান ক্লাবের সদস্য ও অনুগামীরা।
মিমি প্রথমে খুব স্বাভাবিক হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে চাইলেও মায়ের কথা শুনে জন্মদিনে নিজেকে একটু সাজিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু এসে মিমি নিজের জন্মদিনের আয়োজন দেখে অবাক। তিনি ভাবতেও পারেন নি এমনটা হতে পারে। নিজের শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুগামীদের দেখে তিনি আপ্লুত। একের পর এক কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করেন। প্রথম কেকটা কেটে তিনি অধ্যাপক জীবন মুখার্জির মুখে তুলে দেন, তারপর এক এক করে সকলের মুখে তুলে দেন। তাঁর জন্মদিনে সকলের উপস্থিতিতে তিনি বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং বলেন জন্মদিনের খাওয়া দাওয়াটা পাওনা রইল। কিন্তু পাশ থেকে যখন সন্দীপ চক্রবর্তী ও অনির্বান ভট্টাচার্য জানায় সকলের জন্য সামান্য আয়োজন করা হয়েছে। শুনে মিমি আরও অবাক হয়ে গিয়ে বলেন এতকিছু করা হয়েছে অথচ তিনি কিছুই জানেন না!!!! সম্ভবত এই প্রথম কোন সাংসদ নিজের কেন্দ্রের মানুষদের নিয়ে মার্চ মাসে এক পিকনিকের প্রস্তাব দেন।