২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মধ্যেই “খেলা হবে”, কাউকে খেলতে হবে না
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ : গোটা রাজ্যে একটাই স্লোগান ঘুরছে “খেলা হবে”। প্রথমে এই স্লোগান শুরু করে তৃনমূল কিন্তু তৃণমূলকে দেখে এবার বিজেপিও অন্য সুরে শুরু করেছে “খেলা হবে” বলতে। এব্যাপারে রাজ্যসভার সাংসদ ও দঃ ২৪ পরগণার তৃনমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, কে খেলবে কার সাথে? আমরা তো অধিনায়ক ও সহঅধিনায়ক নিয়ে মাঠে মেনে পড়েছি কিন্তু বিপক্ষ দল তাদের অধিনায়ক, সহঅধিনায়ক এখনও ঠিক করতে পারে নি। মাঠে যখন একটা দল গোটা দল নিয়ে নেমে যায় আর বিপক্ষে কোন দল মাঠে নামতে না পারে তখন রেফারি ওয়াকওভার দিয়ে দেয় যে দল মাঠে গোটা দল নিয়ে হাজির থাকে।
ঠিক এই কথা ধরেই বলতে হয় ২০২১ সালে রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে ২৭শে মার্চ থেকে সেখানে বিজেপি দলের মধ্যে “খেলা হবে”। কেন এই কথাটা বলা? বিজেপি দলের মধ্যে এখন যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে তা হল শুরু থেকে পুরাতনেরা দলে থেকে আজ গুরুত্ব হারাচ্ছে। আর যাদের এখন বিজেপি দল গুরুত্ব দিচ্ছে তারা সবই তৃনমূল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের। বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যে প্রকৃত বিজেপি যারা ও যারা বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য আছে তারা দলকে সজাসাপটা জানিয়ে দিয়েছে যদি নব্য বিজেপি মানে দলবদল করে যোগ দিচ্ছে তাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হলে তারা তৃনমূলে যোগ দেবে। এই নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নব্য বিজেপি ও পুরাতন বিজেপির মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেছে। পুরাতনরা নব্যদের এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়।
দলের মধ্যে এই লড়াই কি করে সামাল দেবে তা ভেবে উঠতে জেরবার রাজ্য বিজেপি। এই অসন্তোষ ক্রমেই এমন দানা বাঁধছে যা এবার রাস্তায় নেমে আসছে। দঃ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলী সহ বহু জেলায় এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুরাতন বিজেপি সদস্যরা নব্যদের দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। বিজেপির অন্দরমহলে এই অশান্তি নির্বাচনে বেশ প্রভাব ফেলবে। তাই এই নির্বাচনে বিজেপির জয় আদায় করতে গিয়ে এমন “খেলা হবে” যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে।