প্রথম পাতা

কোভিড ভ্যাকসিনের ভুয়ো শিবিরের সাথে ভুয়ো IAS-এর খপ্পরে সাংসদ মিমি, সাংসদ ভ্যাকসিন নিলেন

সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর উদ্যোগেই পুলিশের হাতে ভুয়ো IAS আধিকারিক দেবাঞ্জন দেব।এব্যাপারে মিমি জানায়, কসবায় ১০৭ নং ওয়ার্ডে তাঁকে করোনার ভ্যাকসিন ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয়।কিন্তু কে জানতো তখন যে এই ক্যাম্পে করোনার ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার হতে হবে খোদ যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। এই শিবিরেই প্রথম ডোজ নেন মিমি। তারপরেই জানা যায়,  কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই সেখানে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। এমনকি বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের।জানা যায় এই কান্ডে জড়িত এক ভুয়ো আমলা!

সাংসদ মিমি জানান, জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের উদ্যোগে তৃতীয়লিঙ্গ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম ও দুঃস্থ মানুষদের এই শিবিরে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে আমায় সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কাজটা ভালো মনে করেই আমিও রাজি হই। এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি যে আমি নিজেও ভ্যাকসিন নেবো এখানেই কারণ তাতে অনেকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হবে।এরপর টিকা নেওয়ার পর সার্টিফিকেট চাইলে বলা হয় কিছুক্ষনের মধ্যে এসে যাবে। টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে আমার বাড়ি কাছেই। বাড়ি চলে আসার পরও মোবাইলে মেসেজ না আসার পরেই সন্দেহ শুরু হয়।আমার অফিসের লোকেরা ক্যাম্পে গিয়ে সার্টিফিকেট চাইলে বলা হয় তিন-চারদিন পর সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। আর তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে।

এরপরই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিনেশন বন্ধ করেন মিমি।জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম দেবাঞ্জন দেব। সে নিজেকে IAS বলে পরিচয় দেয়। নিজেকে কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার বলে দাবি করে ওই ব্যক্তি। পুলিশ এলে তাকে জেরা করতেই তার বয়স ২৮ বলে জানায় ওই ব্যক্তি। আর তারপরেই সন্দেহ আরও জোরালো হয়। ২৮ বছর বয়সে কোনও ব্যক্তি কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার হতে পারে না। আটক করা হয় তাকে। তারপর রাতভর জেরা করা হয়। এরপরই পুলিশ জানতে পারে দেবাঞ্জন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল। এই ঘটনায় পুরসভার অন্য কোনও কর্মীর যোগসূত্র থাকলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *