প্রথম পাতা

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ইংল্যান্ড থেকে আসা যুবকের শরীরে ভাইরাস নেই, স্বস্তি কলকাতার

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৯শে মার্চ ২০২০ : মা রাজ্য সরকারের একজন সচিব পদের আমলা এবং বাবা একজন ডাক্তার। কলকাতায় যখনই তাদের পুত্রের আক্রান্ত হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসে সাথে সাথেই সারা কলকাতা আতঙ্কে ভীত হয়ে পড়ে। আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গোটা কলকাতা ছিল শুনশান। সকলেই বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন তরুণের পরিবারের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের জন্য। গোটা কলকাতায় আজ ছিল একটাই চর্চা, কি হবে এবার, এবার বোধহয় মারা পড়লাম। বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালের খবর অনুযায়ী ওই তরুণের অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর বাবা-মা-গাড়ির ড্রাইভারকেও আই ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কারও শরীরে করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে নি। তাদের সকলেরই লালরসের নমুনা সংগ্রহ করে আই ডি হাসপাতাল পুনে নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই নমুনার রিপোর্ট ইতিমধ্যে এসে গেছে। তাতে বলা হয়েছে নেগেটিভ। তবুও করোনা আক্রান্ত না হলেও তাদের রাজারহাটে কোয়ারানটিনে রাখা হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

এই তরূনের কারণে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নে পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল তৎপরতা কারণ এই তখনকার খবর অনুযায়ী আক্রান্ত তরুণ তাঁর মায়ের সাথে নবান্নে গিয়েছিল। ছেলের সঙ্গে ছিলেন বাবা ও ড্রাইভার। এমনও ঘটে ওই তরুণ নবান্ন থেকে এক শপিং মলে যান, পাশাপাশি পার্ক স্ট্রিটের এক নৈশক্লাবেও যান। রবিবার এই তরুণ ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় ফেরে, বিমানবন্দরে এই তরুণকে আই ডি হাসপাতালে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি যান নি। মায়ের প্রভাব খাটিয়ে তিনি সোমবার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে যান। সেখানেও তাঁকে আই ডি হাসপাতালের কথা বলা হয়। এরপর তিনি কলকাতায় একাধিক জায়গায় যান এমনকি তাঁর আবাসনের বন্ধুদের সাথে অনেক সময় ধরে আড্ডাও দেন। এরফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল ওই আবাসনের বাসিন্দারা। এমনকি তাদের বাড়িতে যে আজের লোক কাজ করতো তাঁর বাড়ি পাশের এক এলাকায়, সেখান থেকেও মানুষ আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন আজ দুই দিন। ওই তরুণ যে বিমানে ফিরেছেন সেই বিমানের সব যাত্রীদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। সব মিলিয়ে সারাটাদিন আতঙ্কে ও চর্চার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়েছে কলকাতাবাসীকে। এখন আতঙ্ক থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পেল শহরবাসী তথা রাজ্যবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *