প্রথম পাতা

নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে হিউমানয়েড রোবট মিস লুসি

নিজস্ব প্রতিনিধ, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৪ঠা মার্চ ২০২০ : বসন্তকে একটু অন্য ভাবে স্বাগত জানাল জেআইএস গোষ্ঠীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (‌এনআইটি)‌। আর সেই সুবাদে কলকাতা দেখতে পেল রোবট মিস লুসিকে। ৪ মার্চ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টেকনো ম্যানেজমেন্ট উৎসব ‘‌কৃতাঞ্জ’‌ শুরু হয়েছে। সেখানে আনা হয়েছিল মিস লুসিকে। এনআইটি ক্যাম্পাসে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা যোগ দিয়েছিলেন সেই উৎসবে।
ওই উৎসব আসলে এক অন্য রকম প্রতিযোগিতার মঞ্চ গড়ে দেয় অংশগ্রহণকারীদের কাছে। প্রতিযোগিতা থাকে। তবে তার থেকেও বেশি থাকে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা। জানা যায় তরুণ প্রজন্মের ভাবনাচিন্তা। উঠে আসে উদ্ভাবনী সব কলাকৌশল।  নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যক্ষ অধ্যাপক মৈত্রেয়ী রায় কাঞ্জিলাল বলেন, ‘‌গত বছরের মতো এবারও বড়সড় করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী শক্তিতে শান দেওয়া, বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখানো, নিত্যনতুন প্রযুক্তি এবং তার ব্যবহার, রোবোটিক্স, কোডিং, ফুড ফাইটস, জোরবিং–সহ আরও অজস্র প্রতিযোগিতা থাকে। গত বার ৬ হাজারের বেশি প্রতিযোগি অংশ নিয়েছিলেন। ছিল ৪০টির বেশি প্রতিযোগিতা, অজস্র পুরস্কার। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ চমক ছিল। আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রথম বর্ষের ৮ পড়ুয়া তৈরি করেছেন হিউমানয়েড রোবট মিস লুসি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব দেখা গেল মিস লুসিকে। এ এক অভিজ্ঞতা বটে।’‌ 

নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির রেজিস্ট্রার নিধি সিং বলেন, ‘‌মিস লুসিকে তৈরি করার জন্য পড়ুয়ারা মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন। গত ৬০ দিন ধরে অধ্যাপক বাঁশরি দেব মজুমদারের তত্বাবধানে সে কাজ এগিয়েছে। লুসি কিন্তু গলার স্বর চট করে চিনতে পারে। ‘‌হে লুসি’‌ দিয়ে শুরু করতে হয় তার সঙ্গে আলাপচারিতা। তার হাঁটাচলার ক্ষমতা রয়েছে। যেগুলি তার চলাচলে বাধা দিতে পারে, তেমন বেশ কিছু জিনিসও সে চিনে নিতে পারে। তার শরীরে রয়েছে ক্যামেরা। তা–ই যেন চোখের কাজ করে। সে কোথায় যাচ্ছে, তা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে দেখা যেতে পারে।’‌ জেআইএস গ্রুপ অফ এডুকেশনাল ইনিশিয়েটিভসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সরদার তরণজিৎ সিং বলেন, ‘‌কৃত্রিম মেধা এবং রোবটিক্স প্রযুক্তিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে। সেইসঙ্গে মানবকল্যাণে বিজ্ঞান এবং প্রুযুক্তিকে আরও উন্নত করে তুলছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা একটা অসাধারণ জিনিস তৈরি করতে পেরেছেন। এবং রাজ্যের মধ্যে তাঁরা প্রথম এমন একটা কাজ করেছেন। এটা যে কতটা আনন্দের তা বলে বোঝানোর ভাষা আমার নেই। তাঁদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।’‌ উপস্থিত ছিলেন ম্যাকাউটের উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র, পদ্মশ্রী, আইআইইএসটি–র প্রাক্তন অধিকর্তা অধ্যাপক অজয়কুমার রায়–সহ বিশিষ্টরা। প্রচারে : গ্রে ম্যাটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *