আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াতের লক্ষ্য হল ভালোবাসা সবার তরে, ঘৃণা নয় কারও ‘পরে, এটা আদর্শই নয়,পবিত্র কুরআনের প্রাথমিক শিক্ষা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৮ই নভেম্বর ২০১৯ : কলকাতার দ্য হোটেল ইন্টারন্যাশনাল-এ আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াত কর্তৃক “বিশ্বশান্তি – একটি সময়োপযোগী চাহিদা” শীর্ষক এক শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, বিশ্বাস, সম্প্রদায়, প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াত, ভারতের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, জানাব সিরাজ আহমেদ। মঞ্চের অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াতের সভাপতি জানাব তানভীর বানী, আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াতের মিশনারি ইনচার্জ জানাব মুসলেউদ্দীন সাদি এবং আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াতের সর্বভারতীয় যুব শাখার সভাপতি জানাব তারিখ আহমেদ। পবিত্র কুরআন-এর আয়াত পাঠ করার পর অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানানো হয় এবং জামায়াতে আহমাদিয়ার একটি ছোট্ট পরিচয় উপস্থাপন করা হয়। আহমেদী মুসলমানগণ হযরত মির্জা গোলাম আহমেদ (আঃ) কে যুগের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মশীহ হিসাবে বিশ্বাস করে। প্রত্যেক আহমেদী মুসলিম তাঁর নিজ দেশের এক অতি অনুগত নাগরিক এবং তাঁর দেশকে সে অত্যন্ত ভালোবাসে। কারণ, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। প্রত্যেক আহমেদী মুসলিম বিশ্বাস করে যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বা ঈশ্বর মানবজাতির আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য যুগে যুগে নবী ও সংস্কারক প্রেরণ করে চলেছেন এবং সে সেই সমস্ত সংস্কারকদের মধ্যে কোন পার্থক্য করেন না। তাই আমরা যিশু খ্রিষ্ট, শ্রীকৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, বাবা নানক তাদের সবাইকে ঈশ্বর প্রেরিত দূত বা সংস্কারক হিসাবে বিশ্বাস করি।
বিশ্বব্যাপী আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াতের প্রধান তথা বর্তমান খলিফা হযরত মির্জা মশরুর আহমেদ (আইঃ) তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, প্রযুক্তির এমন বিকাশ করা হয়েছে যে একটি বোতামের সাহায্যে পৃথিবীর মানচিত্রকে মুছে ফেলার ক্ষমতা রাখে। আমি গণবিধ্বংসী অস্ত্রসমূহের বিকাশের কথা বলছি যা সবচেয়ে অকল্পনীয় ভয়াবহতা ও ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটাতে পারে। এমন জাতীয় অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে যা কেবল বর্তমান সভ্যতাকেই ধ্বংস করাই নয় বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ব্যাপক দুর্দশা ডেকে নিয়ে আসছে।
এই শান্তিসম্মেলনের একটাই উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন স্তরের জনগণের জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে একই লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য নিয়ে চর্চা করা যা বর্তমান সময়ের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন আর তা হল গ্লোবাল পিস অ্যান্ড ইউনিভার্সাল ব্রাদারহুড অর্থাৎ বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব।আহমাদিয়া মুসলিম জামায়াতের লক্ষ্য হল ভালোবাসা সবার তরে, ঘৃণা নয় কারও ‘পরে, এটাই হচ্ছে জামাতের আদর্শ। এটি এমন একটি বার্তা যা কেবল একটি আদর্শই নয়, বরং পবিত্র কুরআনের প্রাথমিক শিক্ষা। প্রচারে লঞ্চার্স।