প্রথম পাতা

বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ হুশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলকে বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি কমজোর নয়

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, বোলপুর, ২০শে ডিসেম্বর ২০২০ : ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ বোলপুর সফরের শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যা বললেন তার নির্যাস দেওয়া হল। সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ ছারা উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, সৌমিক ভট্টাচার্য, কৈলাশ বিজয়বর্গি। অমিত শাহ জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের সবাইকে স্বাগত, আজ আমার সফরের দ্বিতীয় দিন সমাপ্ত হতে চলেছে। কিছুদিন আগে আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপর যেভাবে হামলা করেছে তৃনমুল তার নিন্দা করি। গণতন্ত্রে সবার আওয়াজ ওঠানোর অধিকার আছে।

● শুধু নাড্ডার উপর হামলা নয়, এটা মানুষের গণতন্ত্রের উপর হামলা। এর দায় সম্পূর্ণ তৃণমূলের।

● আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সব তৃণমূল সদস্যদের বলতে চাই, আপনারা ভাববেন না বিজেপি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবে এইভাবে।

● আপনারা যত হিংসা করবেন, আমরা আরো শক্তিশালী হবে। হিংসার জবাব হিংসায় নয়, আমরা নির্বাচনে দেব।

● ৩০০ অধিক কার্য্কর্তা হিংসার বলি হয়েছেন।অরাজকতা চরম সীমায় পৌঁছেছে।

● আমফান সাইক্লোনের টাকা দুর্নীতি। মোদি গরিব মানুষদের জন্য খাবার পাঠানোর পরও তা তৃনমূলের পকেটে ঢুকেছে। গরিব না খেয়ে থাকে। যারা ক্ষমতায় থাকে এর দায় তাদের নিতেই হবে।

● ক্যাগ নিয়ে কেন চর্চা হবে, কেন সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে।

● পরিবারতন্ত্র যখন আসে তখন এরকমই হয়।বহু তৃনমুল নেতা, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করলেন। ওনাকে স্বাগত। আমি মনে করি যেখানে যত নেতা আওয়াজ ওঠাতে চান, প্রতিবাদ করতে চান তাঁদের স্বাগত।

● আমাদের উপর নানান অত্যাচারের পরও যেভাবে আজ রোড শো হল তার জন্য মানুষকে ধন্যবাদ।

● স্বাধীনতার পর থেকে বাংলার জিডিপি শুধুই কমতে থেকেছে। ৩০ বছর বাম শাসন থেকে শুরু করে তৃনমুল শাসন শুধুই অবনতি হয়েছে।

● বিজেপি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
মোদির নেতৃত্বে সোনার বাংলাকে পুনরায় গড়ে তুলব।

● স্বাধীনতার সময় থেকে সমগ্র দেশে জিডিপিতে এক তৃতীয়াংশ অবদান ছিল বাংলার। বর্তমানে তা অবনতি হতে হতে নূন্যতম হয়েছে ৩০ বছর বাম শাসন এবং ১০ বছর তৃনমুল শাসনে।

● শিল্পক্ষেত্রে বাংলার অবদান সমগ্র দেশের মধ্যে ৩০% ছিল। বর্তমানে তা ৩.৫% নেমেছে। আমি মমতা দিদি এবং কমিউনিস্টদের জিজ্ঞেস করতে চাই এর দায় কার?

● ১৯৬০ সালে বাংলার মানুসেট মাথা পিছু গড় আয় মহারাষ্ট্রের দ্বিগুন ছিল। বর্তমানে তা অর্ধেকের থেকেও কম। এর দায় কার?

● ১৯৫০ সালে ফার্মা ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলার অবদান ছিল ৭০%, আজ ৭%।

● জুটশিল্পও অবনতি ঘটেছে।

● ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথের ক্ষেত্রে ৩২ এর মধ্যে বাংলার অবস্থান ২০ তে এবং সিএজিআর অনুযায়ী ৫.৭৪% তে ঠেকেছে।

● পরিষেবা ক্ষেত্রে ৫.৮% হয়েছে এবং ২৮ তম স্থানে আছে বাংলা।

● এফডিআইতে ২০১১ থেকে ১% রয়েছে। কারন তার নিচে আর নামা সম্ভব নয়! তৃনমুল সরকার এটাকে অবশ্যই সাফল্য হিসেবে ভাবতেই পারে।

● ১০ কোটি কৃষক সাহায্য পেয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা পাননি। কারন মমতা ব্যানার্জি তালিকা পাঠাচ্ছেন না। ২৩ লক্ষ কৃষক যাঁরা অনলাইন আবেদন করেছেন তাঁদের ও সই করে দিচ্ছেন না। ৬০০০ টাকা থেকে বঞ্চিত কৃষকরা।

● সড়ক নির্মাণে অবনতি দেখা গেছে। নগরায়নে খরচ হচ্ছে না।

৯০% স্কুলে ডেস্ক নেই। ৩০% স্কুলে ক্লাসরুম নেই, ৫৬% স্কুলে শৌচালয় নেই, ১০% স্কুলে ইলেক্ট্রিসিটি নেই, ১ লক্ষ ছাত্রপিছু কলেজের সংখ্যা ১৩টি

● তোলাবাজি, ভ্রষ্টাচার, রাজনৈতিক হত্যা, স্বজনপোষণ এ এক নম্বরে আজ এই রাজ্য।

● কোনো বাচ্চা জন্মালে ৫০হাজার টাকার ঋণ নিয়ে জন্মায় এই রাজ্যে।

● রাস্তার অবস্থা খারাপ।

● কৃষকদের মাসিক রোজগারের ক্ষেত্রে নাবার্ডের তথ্য অনুযায়ী ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ২৪ নম্বরে।

● প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রতে ১৮% কম অবদান।

● আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পান না বাংলার মানুষ।

● তৃনমুল পরিবার পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

● প্রশাসনের রাজনীতি করন করছে তৃনমুল। বাংলার মানুষকে আমি অনুরোধ করছি আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগদান করুন এবং সোনার বাংলা গড়ে তুলুন।

●বিজেপি তাদের লক্ষ্য থেকে একচুলও নড়বে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *