চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো পরিক্রমার পুরস্কার বিতরণীতে তারকাদের চাঁদের হাট
নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, চন্দননগর, ৪ঠা নভেম্বর ২০১৯ : জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর, এটা প্রায় সব বাঙালির জানা। কিন্তু চন্দননগর কেন এই পুজোর জন্য বিখ্যাত তা অনেকের জানা নেই। সেটাই আসল জানার বিষয়।আনুমানিক প্রায় ৩০০ বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রাজা এই নভেম্বর মাসেই বানিজ্য করে ফেরার সময় কিছুটা দেরি হয়ে যাওয়ায় কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো করতে পারেন না কারণ তখন প্রায় অষ্টমী পুজো শুরুর মুখে। তিনি সেই সময় এই চন্দন্নগরের পাশ দিয়েই ফিরছিলেন। কোন উপায় না দেখে তিনি চন্দননগরের ঘাটে সেই সময় চাউল পট্টিতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন অষ্টমীর দিনেই। আর সেই থেকেই অষ্টমীর দিনেই সর্বত্র জগদ্ধাত্রী পুজো অষ্টমীতেই হয়ে আসছে। কিন্তু এই অষ্টমী পুজোর দিন বাকি ষষ্ঠী থেকে দশমী পুজো একই সাথে পাঁচ প্রহরের পুজো হয়ে থাকে। আজও সেই “আদি মা” পুজিত হয়ে আসছে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে (হাসপাতাল মোড়ের কাছে)। এবছর চন্দননগরে যৌথ পুজো পরিক্রমার আয়োজন করে শর্মিলা আর্টস এবং কিউ ভাইস ইউনিক ভিসুয়াল।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যাওয়া মানে ধাঁধাঁয় পড়ে যাওয়া কারণ কোন পুজো ছেড়ে কোন পুজো দেখবে মানুষ আর কোন গলি ছেড়ে কোন গলিতে যাবে মানুষ। গোটা চন্দননগরে এই পাঁচটা দিন একটা উৎসবের আমেজ। চারিদিকে বাহারি জমকালো আলো, তেমনিই থীমের বাহার। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। এবছর যারা এই সেরা পুজোর বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা হলেন প্রশান্ত মুখার্জি, কৃষ্ণ গোপাল চৌধুরী, প্রজ্ঞা পারমিতা দাস এবং আয়জকদের পক্ষ থেকে ছিলেন আশিস ব্যানার্জি ও সুব্রত দে।
তাঁরা সব কটা পুজো দেখে তাদের নজরের নিখুঁত বিচারে ৭টি পুজোকে সেরার তালিকায় রেখেছেন যার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিমায় বাগবাজার চৌমাথা সর্বজনীন (প্রথম), সুভাষ পল্লী সর্বজনীন (দ্বিতীয়) এবং কালপুকুর ধার সর্বজনীন (তৃতীয়)।সেরা মণ্ডপে বাগবাজার সর্বজনীন (প্রথম), অম্বিকা অ্যাথেলেটিক ক্লাব (দ্বিতীয়) ও সুরের পুকুর সর্বজনীন (তৃতীয়)। এবার যেটা বাকি থাকলো তা হল সেরার সেরা পুজো হিসাবে পুরস্কার লাভ করে বিবিরহাট উত্তরাঞ্চল জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। মোট সাতটা পুজো মণ্ডপে গিয়ে আয়জকদের হাতে সেরা পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী পায়েল মুখার্জি, অভিনেত্রী ও মডেল ঝিলমী মুখার্জি, মিসেস ওয়ার্ল্ড ওয়াইড (ইস্ট) আকাঙ্খা মাগলানী, মডেল বিশ্বরূপ চক্রবর্তী, মিসেস বেঙ্গল পামিতা সাধুখা, নির্দেশক শ্রীরূপ শেঠ, সাংবাদিক ও নেতাজি গবেষক অম্বর ভট্টাচার্য এবং চিত্রগ্রাহক বুলান ঘোষ।