বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের উৎসাহে এবার ৩৫ নং ওয়ার্ডে চালু হল নগরলক্ষ্মী, প্রতিদিন ৩০০ জনের রান্না করা খাবার পরিবেশন হচ্ছে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৯ই মে ২০২০ : কোভিড ১৯-এ লকডাউন পরিস্থিতিতে পীড়িত বহু মানুষ যখন অসহায় তখন জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় তৃণমূল কংগ্রেসের বহু সাংসদ-বিধায়ক ও পৌর প্রতিনিধিরা দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডে বহু প্রান্তিক মানুষের বসবাস। এই ওয়ার্ডে বসবাসকারী অর্ধেক মানুষের রেশনকার্ড না থাকায় তারা কোনো রেশন পাচ্ছে না। ফলে লকডাউন পরিস্থিতিতে এই ওয়ার্ডের বসবাসকারী অসংখ্য দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এই ওয়ার্ডের পৌরপিতা অসুস্থ থাকায় সরকারি পরিষেবাও সব মানুষের কাছে সঠিক ভাবে না পৌঁছানোর ভুরি ভুরি অভিযোগ আছে। এমন একটি কঠিন সময়ে এই ওয়ার্ডেরই বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশিস দাশকে দেখা গেল এই ওয়ার্ডের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। প্রায় প্রথম লকডাউনের দিন থেকেই দেবাশিস বাবুকে দেখা যায় নিজের উদ্যোগে কিংবা ৩৫ নং ওয়ার্ডের সতেরোটি ক্লাব সংগঠনকে নিয়ে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে। তিনি কখনো সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সহযোগিতায় চাল ডাল আলু বিতরণ করছেন, আবার কখনো এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের ” নগরলক্ষ্মী” কমিউনিটি কিচেন থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে গিয়ে ওয়ার্ডের দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে সরবরাহ করছেন।
এবার ৩৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মীদের সাথে নিয়ে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের কমিউনিটি কিচেন “নগরলক্ষ্মী”র উৎসাহে এবার তারই অনুকরণে “নগরলক্ষ্মী”- কমিউনিটি কিচেন খুলে ফেললেন নিজের ওয়ার্ডেই। সম্পূর্ণ হাইজেনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ওয়ার্ডের ৩০০ টি বাড়িতে দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়। দেবাশিস দাশ জানালেন এই কমিউনিটি কিচেন চলবে আগামী ১৭ই মে ২০২০ পর্যন্ত। ওয়ার্ডের অসহায় মানুষ এই পরিষেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি ।