গড়িয়ায় এবার ব্লক স্তরের “দিদিকে বলো” কর্মসূচীতে আগামীকাল ৪ নং ওয়ার্ডে বিধায়কের সাথে বিভাস মুখার্জি সহ যুব ও অন্যান্য নেতৃত্ব
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৭ই অক্টোবর ২০১৯ : “দিদিকে বলো” শুরু হয়েছে অনেক আগেই। প্রথমে বিধায়কের উদ্যোগে হয়েছে, তারপর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আর এবার মানে তৃতীয়বার ব্লক সভাপতির উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে। আজ সন্ধ্যায় গড়িয়া টাউন সভাপতি বিভাস মুখার্জির উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় গড়িয়া-গঙ্গাজোয়ারা অটো ইউনিয়নের কার্যালয়ে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পাপাই দত্ত,
গড়িয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়ন্ত সেনগুপ্ত, উদ্যোক্তা বিভাস মুখার্জি সহ বহু কর্মী। বিভাস মুখার্জি জানান, “দিদিকে বলো” কর্মসূচী এক অনবদ্য কর্মসূচী যেখানে সাধারণ মানুষ সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সুবিধা, অসুবিধা বা অভিযোগ সরাসরি জানাতে পারছেন। এধরনের কর্মসূচী ভারতে কেন আমার ধারণ সারা বিশ্বে কোন দেশে এরকম কর্মসূচী নেই যেখানে সাধারণ মানুষ ই-মেল বা ফোনে অভিযোগ জানাতে পারেন বা কোন পরামর্শ দিতে পারেন। এই কর্মসূচীতে এবার ব্লক সভাপতিদের উদ্যোগে হচ্ছে যা মানুষের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য হবে। এরফলে মানুষের সাথে জনসংযোগ আরও বাড়বে যার ফলে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হবে।
এতদিন মানুষের অভিযোগ ছিল সাংসদ, বিধায়ক বা কাউন্সিলারদের একবার জেতার পর আর দেখা যায় না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই অতি জনপ্রিয় কর্মসূচীর মারফৎ আমরা বাধ্য মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুবিধা, অসুবিধা এবং পরামর্শ লিপিবদ্ধ করার। আগামীকাল রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর উত্তর যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি এবং গড়িয়া টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়ন্ত সেনগুপ্ত সহ আরও কর্মীদের একসাথে নিয়ে এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচীকে কার্যকরি করা হবে।
আগামীকাল গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন ৪ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত রেল পাড়া যে ওয়ার্ডের আমি পৌরপিতা সেখানে বিকেল ৪টা থেকে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে পরবর্তীতে ওয়ার্ডের বাকি এলাকাতেও করা হবে। এই কর্মসূচী আগামীদিনে পৌরসভা নির্বাচনে অনেক এগিয়ে দেবে দলকে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বলেন, যখন “দিদিকে বলো” কর্মসূচী ছিল না তখনও আমরা বিভিন্ন পৌরসভা এলাকায় বা পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করে বা কর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া সভা করে অভাব অভিযোগ শুনতাম কিন্তু এই কর্মসূচী চালু হবার পর কাজের অনেক সুবিধা হয়েছে। মানুষ সরাসরি “দিদিকে” বলা একটা সুযোগ পেয়েছে আর সেখানে অনেক অভাব অভিযোগ জমা পড়ছে যার সমাধান অনেক দ্রুত হচ্ছে।
মানুষ এই কর্মসূচীতে খুবই খুশি। গড়িয়া গঙ্গাজোয়ারা রাস্তা নিয়ে বিধায়ক বলেন, এই রাস্তার সমস্যা বহুদিনের। বর্তমানে এই রাস্তা রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের অধীনে দেওয়া হয়েছে, কাজ চালু হয়েছে তবে পুজো চলে আসায় একটু দেরি হচ্ছে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।একইভাবে আমিও নিজস্ব একটা হোয়াটস অ্যাপ নম্বর রেখেছি যেখানে আমার বিধানসভার সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন। আমি অনেক অভিযোগ পাচ্ছি, স্থানীয় স্তরের সমস্যা হলে তা সমাধান করছি কিন্তু বড় ধরনের সমস্যা বা অভিযোগ এলে তা রাজ্য প্রশাসনিক স্তরে জানিয়ে দিচ্ছি। সমাধান হচ্ছে। আমার হোয়াটস অ্যাপ নম্বর আবার দিচ্ছি ৯৩৩০৬৫১০৩১। নীচে বিধায়ক ও সাংবাদিক সম্মেলনের ভিডিও দেওয়া হয়েছে, আপনারা সেখানে শুনতে পারবেন কি বলেছেন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম।