ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেবের এক ঘুষিতে নির্বাচনের রিং-এর বাইরে তৃনমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া রূদ্রনীল
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, কলকাতা, ২রা মে ২০২১ : ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র মমতা ব্যানার্জির নিজস্ব কেন্দ্র আর এবার সেই কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী গতবারের রাসবিহারী বিধানসভার জয়ী তৃনমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গতবার এই কেন্দ্রে মমতা ব্যানার্জি নিজেই প্রার্থী ছিলেন এবং জয়ী হয়েছিলেন ২৫৩০১ ভোটে আর সেখানে শোভনদেব জয়ী হয়েছেন ২৮৫০১ ভোটে।যদিও শোভনদেব জয়ের পর আমাদের জানান জয়ী হবো জানতাম কিন্তু ব্যবধানটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।
এবার শোভনদেব ভোট পেয়েছেন ৭৩,০৪৮ আর সদ্য তৃনমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া রূদ্রনীল ঘোষ ভোট পেয়েছেন ৪৪,৫৪১ এবং কংগ্রেসের শাহদাব খান পেয়েছেন ৫১৫৯ ভোট। কিন্তু রূদ্রনীল নির্বাচনী প্রচারে অনেক কথা বলেছিলেন। তিনি তৃণমূলের অনেক সমালোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন তৃণমূলের বহু অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করতে বিজেপিতে গিয়েছি, আমার মত মানুষও ব্যালটে প্রতিবাদ করবে, ভোট দেবে বিজেপিকে।
কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে নিয়ে প্রচার করেছেন। সেদিন ভেবেছিলেন ভবানীপুর আসনটা জিতেই গেছেন। কিন্তু রূদ্রনীল জানতেন না একসময় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বক্সিং প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিলেন। একই কায়দায় এবারও সেই কায়দায় এক ঘুষিতে নির্বাচনী রিং-এর বাইরে করে দিলেন প্রতিপক্ষ রূদ্রনীলকে।গোটা কলকাতায় বিজেপি খাতা খুলতেই পারে নি। ১১টা আসনেই তৃনমূল জয়ী হয়েছে।
তবে এবার ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেব গতবারের ৬টা ওয়ার্ডের হারকে অনেকটা মেরামত করছে তৃনমূল কিন্তু তাতেও ২টো ওয়ার্ডে এবারও হার হয়েছে। প্রথমটা ৭০ নং ওয়ার্ড আর দ্বিতীয়টা ৭৪ নং ওয়ার্ড হতে পারে। এই চিত্রটা আগামীকাল আরও পরিস্কার হয়ে যাবে কোন ওয়ার্ডে কত ব্যবধানে জয়ী হয়েছে তৃনমূল। কিন্তু শোভনদেব জানান, এই জয় মানুষের জয়, মমতার জয়, উন্নয়নের জয়। জয়ের পর আরও দায়িত্ব বেড়ে গেল। মানুষের সমর্থনের মর্যাদা দিতে হবে পরিষেবা ও উন্নয়ন দিয়ে কারণ সামনেই কর্পোরেশন নির্বাচন আছে।