শতাংশের অঙ্কে তৃণমূল অনেক এগিয়ে, লোকসভার কোন ছাপ নেই উপনির্বাচনে, রাজ্যে সবুজ ঝড়
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৮শে নভেম্বর ২০১৯ : রাজ্যে উপনির্বাচনে বিজেপিকে লাল সঙ্কেত দিয়ে বুঝিয়ে দিল আগামীদিনে রাজ্যে তাদের সেভাবে কোন প্রভাব পড়বে না। এবারে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে শতাংশের হারে তৃণমূল অনেক এগিয়ে। খড়গপুর কেন্দ্রে ১২০০০ ভোটে এগিয়ে আর শতাংশের হারে তৃণমূল ৪৫.৮১%, বিজেপি ৩৩.৭৮% ও বাম-কং জোট প্রথমে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারে নি শতাংশ ১৭.৫৮%। কালিয়াগঞ্জে বিজেপি সন্তোষজনক ব্যবধানে থাকলেও পরবর্তীতে সেই ব্যবধান কমতে শুরু করেছে। এখানে মাত্র ৮২৪ ভোটে এগিয়ে বিজেপি আর শতাংশের হারে বিজেপি ৪৭.৬৬%, তৃণমূল ৪১.৪৪% ও বাম-কং জোট ৭.২৩%।কিন্তু সপ্তম রাউন্ডে ৩২০০ ভোটে এগিয়ে গেছে।সবার আশাকে বজায় রেখে করিমপুর কেন্দ্রে বড় ব্যবধানে এগিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তৃণমূল, জয়ের ব্যবধান ২৩৫৮৬ ভোট। শতাংশের হারে তৃণমূল ৬৮.১৬%, বিজেপি ১৭.৯৪ ও বাম-কং জোট ১২.০৭%। রাজ্য রাজনীতি মনে করছে তৃণমূলের ব্যবধানের কারণ বিজেপির এন আর সি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা। এই নির্বাচন বুঝিয়ে দিল বিজেপি রাজ্যে কোথাও কোন ছাপ ফেলতে পারবে না। অনেকগুলো কারণের ছাপের প্রভাব ফেলেছে এই উপনির্বাচনে। প্রথম গ্যাসের ভর্তুকি কমাতে কমাতে এবার তা তুলে দিতে চলেছে। দ্বিতীয় সর্ব স্তরে মূল্যবৃদ্ধি।জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। জিডিপ কমতে শুরু করেছে। সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ একটা প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় কোন কর্মসংস্থান নেই উলটে কালো টাকা আনতে গিয়ে বিফল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পেয়াজের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে সেখানে কেন্দ্র সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। মানুষের পেটে খাবার দিতে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে। এর থেকেই রাজ্যের ২০২১ সালের চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে গেল মুকুল, সব্যসাচী বা অর্জুনের কোন প্রভাব পড়বে না।২০২০ পুরসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা তৃণমূলের দখলেই থাকছে। তবে কি আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা কর্মীদের ফের ঘরে ফেরার পালা শুরু হবে? সময় বলবে।ইতিমধ্যে দিলীপ ঘোষ ও দেবশ্রী রায় চৌধুরী দুই সাংসদের কোন প্রভাব পড়ল না দুই বিধানসভায়। এরপর বিজেপি রাজ্য সভাপতি কি সাফাই দেবেন কারণ এবার কেন্দ্রীয় সেনা দিয়েই ভোটগ্রহণ হয়েছে।