জল অপচয় রুখতে সরকার স্বক্রিয় হলেও সক্রিয় নন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার পুরমাতা পাপিয়া
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৬শে জুলাই ২০১৯ : আগামীদিনে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে ভেবে নিয়ে মমতা ব্যানার্জির সরকার সচেতনতা বাড়াতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। একই সাথে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়িকা ফিরদৌসী বেগম। বিধায়ক বিজে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পদযাত্রা করে সচেতনতা বাড়াতে সক্রিয় হয়েছেন। সমীক্ষায় বলছে যেভাবে ভুগর্ভস্থ জলের লেয়ার নেমে যাচ্ছে তাতে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দেবে এই রাজ্যে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে জলের অপচয় রুখতে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সোনারপুর উত্তর বিধানসভা অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে জলের অপচয় হয়ে চলেছে। গড়িয়া স্টেশনের সি ৫ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন লাইন দিয়ে খাবারের দোকান গজিয়ে উঠেছে। কিন্তু সকলের মাঝে পৌরসভার পানীয় জলের কল রয়েছে এবং তাতে ট্যাপ নেই বা কোন স্টপ নব নেই।সকাল থেকে অনবরত জল পড়ে অপচয় হয়ে চলেছে। এটা যে কোন গলির মধ্যে একটা কল তা কিন্তু নয়।রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পুরমাতা পাপিয়া হালদারের বাড়ির গলির একেবারে মুখের সামনেই। রোজ সকাল বিকেল এই রাস্তা দিয়েই তিনি স্কুলে যান বা ওয়ার্ডের অন্যান্য কাজকর্ম করতে যান। একেবারে নাকের ডগায় এভাবে জলের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া এলাকার মানুষের কতটা সচেতনতার অভাব, এভাবে জল অপচয় হচ্ছে দেখেও পৌর প্রতিনিধির নজরেও আনার কোন উদ্যোগ নেই বাসিন্দাদের। জল পড়ছে দেখেও তারা না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছেন।একেবারে জনবহুল জায়গায় এভাবে জল অপচয় হতে দেখেও কেউ সচেতন নয়? আগামীদিনে তাদেরই জলকষ্টে ভুগতে হবে জেনেও কেউ উদ্যোগী নয়। ওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা প্রায়ই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে, এছাড়া এই বাসস্ট্যান্ডের পাশেই যুব তৃণমূলের এক প্রকারের জেলা অফিস বলা যেতে পারে, হামেশাই এলাকার নেতা থেকে কর্মীদের আনাগোনা, কারও নজরে আসে নি এই জলের অপচয়? সকলে আসেন এখানে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি অনিরুদ্ধ হালদারের সাথে দেখা করতে। তাই আমরা স্থানীয় বিধায়ক, পুরপ্রধান ও পুরমাতার নজরে আনার একটা প্রয়াস নিলাম।