হায় রে স্বাধীনতা! জাতীয় পতাকা নিয়ে বিড়ম্বনায় বিমান, সুজন নাকি নিছক অবহেলা?
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, কলকাতা, ১৫ই আগস্ট ২০২১ : ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস আজ পালন করা হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ কার্যালয়ে।কিন্তু জাতীয় পতাকা নিয়ে যা ঘটল তা গোটা দেশের কাছে বাঙালি জাতি হিসাবে কলঙ্কময় করে তুলল।ভারতের জাতীয় পতাকার কোনটা উপর আর কোনটা নীচে এতদিন পর নিজেরাই গুলিয়ে দিলেন। উপস্থিত ছিলেন পলিট বুরোর চেয়ারম্যান বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী।পতাকা তখন মাঝপথে তরতর করে উর্ব্ধমুখী, উপস্থিত সাংবাদিকরা চিৎকার দুজনে কর্ণপাত না করেই পতাকা উত্তলনে ব্যস্ত। সাংবাদিকদের চরম চিৎকারে টনক নড়ল, আবার মাঝপথ থেকে নামানো হল পতাকা।পতাকা ঠিক করে নিয়ে পুনরায় আবার উত্তোলন করা হল জাতীয় পতাকা।
তাই তো বলতে হয়, এক কোন স্বাধীনতা? এরা কি আদৌ ভারতবাসী? কেন এই বিড়াম্বনা? নাকি নিছক জাতীয় পতাকার প্রতি অবহেলা? নিজেরাও মানতে চাইবেন না যে এবার বয়স হয়েছে, বুদ্ধি, স্মৃতি সবই লোপ পেয়েছে।যতই বয়স হোক বামফ্রন্টে বলা আছে দেহত্যাগের সাথে পদত্যাগ হবে। তার আগে যে যাই বলুক না কেন নিজের গদি আকড়ে রাখতেই হবে। বাঙালি হিসাবে এ কি লজ্জা। নিজেদের পতাকা চেনেন কিন্তু একজন ভারতীয় হিসাবে জাতীয় পতাকা চেনেন না।যারা ভারতের জাতীয় পতাকাই চেনে না তারা আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন নিয়ে কি করে কটাক্ষ করেন? নিজেদের প্রতি কি এতটুকু লজ্জা হয় না? ঠিক এই কারণেই তো বাংলার মানুষ ৩৪ বছর সহ্য করে একটা জাতীয় দল হিসাবে মুছে ফেলেছে বাংলা আর ত্রিপুরা থেকে, আছে শুধু কেরলে। সারাজীবন শুধু ঐতিহাসিক ভুলের অজুহাত দিয়েই কাটিয়ে গেল। এটাও কি তবে সেরকমই একটা ঐতিহাসিক ভুল ছিল?