ক’দিন আগে গড়িয়া সি ৫ বাসস্ট্যান্ডে রাতে বাস ভাঙা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর উত্তর, ২৭শে জুন ২০১৯ : গত ১৭ই জুন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে শ্রীনগর বাসস্ট্যান্ডে রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাগবাজার ও পাইকপাড়া বাসে কে বাঁ কারা ইট ছুড়ে বেশ কিছু বাসের সামনের কাঁচ ভেঙে দেয়।সকালে জানা যায় স্থানীয় কিছু যুবক রাতে বাসে ইট মারে যার ফলে বাসের কাঁচ ভাঙে। কিন্তু তারা ১০-১২টা বাস ভাঙে নি। তারা ইট দিয়ে শ্রীনগর মেন রোডে পার্কিং করা বাস ভেঙেছে। তবে প্রশ্ন, বাকি বাসগুলো কে ভাঙ্গল? এই রুটের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে বাকি বাসগুলো তাদেরই শ্রমিকরা ভেঙেছে। এই বাগবাজার বা পাইকপাড়া রুটের কোন সরকারি পারমিট নেই। রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা হলে আহত বা মৃত যাত্রী কোন রকম সরকারি সাহায্য বা বীমার থেকে কোন সাহায্য পাবে না। এই দুটো রুটে যতগুলো বাস চলছে সেগুলো বাইরের রুটের বাস, নিজের রুট ছেড়ে অন্য রুটে চলছে।যেমন এখানে ২০৬ রুটের অনেক বাস এই রুটে নির্ভাবনায় চলছে।পুলিশও এই অস্বচ্ছতা জানে। তারাও নির্বিকার, সরকারও নির্বিকার। এই দুটো রুটের সাথে তিনটে রুটের মিনিবাস আছে যারা প্রতিদিন গড়িয়া স্টেশনের রাস্তার জামজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের মাঝ রাস্তায় প্রায় ১০-২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার জন্য বাকি সব গাড়ি ও স্কুলবাসগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যার জন্য জামজট তৈরি হয়। তাদের বহুবার সতর্ক করলেও কেউ কর্ণপাত করে নি। তাই রাগে এলাকার কিছু যুবক রস্তার উপর পার্কিং করা দুটো কি তিনটে বাস ভেঙেছে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে থাকা বাসগুলোকে ভেঙেছে বিন্দে, ইসলাম, ড্রাইভার লাল্টু, ড্রাইভার পার্থ, ড্রাইভার বিশ্বজিত, কন্ডাক্টার শংকর, ড্রাইভার মিঠুন ও বাচ্চু সাত্তার। শ্রমিক সংগঠন এই খবর পাওয়া মাত্র তাদের ছাটাই করে বলে জানা যায়। রাতে এমনভাবে বাস রাস্তা জুড়ে পার্কিং করা হয় যে জরুরি অবস্থায় কোন রুগীকে নিয়ে যাওয়া যায় না।