স্বাস্থ্য

অপারেশন থিয়েটারের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বমানের স্টেরিলাইজেসন চালু করল অ্যাপোলো হাসপাতাল

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৯শে জানুয়ারি ২০২০ : অপারেশন থিয়েটার থেকে যে সংক্রমণ ছড়ায় তা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতাল তাদের সেন্ট্রাল স্টিরাইল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টলে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে দক্ষ করে তুলেছে। ফলে এই হাসপাতাল হয়ে উঠেছে বিশ্বার সেরা হেলথকেয়ার ইনস্টিটিউটের সমতুল্য। এই পদক্ষেপের ফলে কলকাতার অ্যাপোলোর ওটিতে সংক্রমণের হার একেবারে নীচের দিকে নেমে এসেছে। এই হার বিশ্বের গড় হারেরও নীচে। আন্তর্জাতিক স্তরে ওটিতে সংক্রমণের হার যখন ৩ থেকে ২১% তখন অ্যাপোলোর ক্ষেত্রে হার ০.৫৩%।

সিএসএসডিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন স্টিলকো এসপিএ, ইতালির আন্তর্জাতিক বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অ্যান্ড্রু সেজারে। সিএসএসডিতে যে পদ্ধতি মেনে চলা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করে বোঝান তিনি। তাঁর মতে, হাসপাতালে ব্যবহৃত সব ধরনের সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা যায় সিএসএসডির মাধ্যমে। এটা করা হয় পাঁচটি পদক্ষেপের মাধ্যমে- দূষণমুক্ত করা, জড়ো করা, স্টেরিলাইজ করা, ব্যাকটিরিয়ামুক্ত অবস্থায় স্টোরে রাখা এবং তা আবার বন্টন করা হয়।

কোনও মেডিক্যাল যন্ত্রপাতিকে যদি বারে বারে প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে তার মৌলিক ও প্রাথমিক ধাপ হল সেগুলোকে পরিষ্কার করা। পরবর্তী ধাপে রিপ্রসেসিংয়ের যেসব পদক্ষেপ রয়েছে যেমন স্টেরিলাইজ করা কিংবা সংক্রমণশূন্য করা, সেগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হলে যন্ত্রপাতি ঠিকমতো পরিষ্কার করাটা অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতাল থেকেই যে সংক্রমণ ছড়ায় সেটা ঠেকানোর জন্যই এটা দরকার।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতালের সি এস এস ডি বিভাগের প্রধান তপন কুমার দাস। তিনি একইসঙ্গে ওয়াস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সার্ভিসেসের এগজামিনার। তিনিও সিএসএসডির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি বুঝিয়ে বলেন প্রতিটা ধাপ ও মেশিনের গুরুত্ব। তিনি একথাও বলেন, এই সব ধাপের কোনও একটায় ঘাটতি থাকলেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতালের সিএসএসডিতে প্রতিটি যন্ত্র ব্যবহারের পর সেগুলিকে সাফাইয়ের তিনটি ধাপ পেরোতে হয়। প্রথমে এনজাইম সলিউশন ও জল দিয়ে হাতে পরিষ্কার করা হয় এবং এর পরে ১২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উত্তপ্ত জ্বলে তা স্টেরিলাইজ করা হয়। সখন প্রেসার রার থাকে ১.২। এরপরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ১৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং প্রেসার বার হয় ২.১।

কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতালে রয়েছে সর্বাধুনিক প্লাজমা স্টেরিলাইজেসণের ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিতে ল্যাপেরোস্কপির যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করা হয়। সিএসএসডির জন্য এশিয়া প্যাসিফিক সোসাইটি ইনফেকশন কন্ট্রোল পুরস্কার জিতে নিয়েছে এই হাসপাতাল। কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতালে সার্জিকাল সাইড সংক্রমণ খুবই কম। এক্ষেত্রে বিশ্ব পরিসরে সংক্রমণের গড় হার যখন প্রায় ৩ থেকে ২১%-র মধ্যে, এখানে সেই হার ০.৫৩%।

কার্ডিওথোরাসিক ভাসকুলার সার্জেন ও অ্যাপোলো হাসপাতালের ডিরেক্টর এবং সিনিয়র চিকিৎসক সুমন মুখার্জি ও অর্থোপেডিক সার্জন চিকিৎসক অভীক কর বলেন, এমনকি যেসব রোগীর খুব সাধারণ সার্জারি হয় সেখানে সঠিক সিএসএসডি না থাকলে তাদেরও সংক্রমণ হতে পারে যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে।প্রচারে অ্যাড ফ্যাক্টর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *