স্বাস্থ্য

বেশিরভাগ স্কুলের পড়ুয়ার মতামত ও আচরণে প্রভাব ফেলে সোশ্যাল মিডিয়া : ফর্টিস স্টাডি

নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২০শে জুলাই ২০১৯ : ফর্টিস হেলথকেয়ারের আচরণগত ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের এক সমীক্ষায় জানা গেছে আজকের স্কুল পড়ুয়াদের মতামত গঠন ও আচরণে সোশ্যাল মিডিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমীক্ষায় আরও জানা গেছে ৭৮%-এরও বেশি পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা সময় ব্যয় করে। ৯২% মনে করেন এটি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সদর্থক বার্তা প্রচারের এক সহায়ক মঞ্চ। সমীক্ষাটি ডা: সমীর পারিখ (ডিরেক্টর, মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড বিহেভিওরাল সায়েন্সেস, ফর্টিস হেলথকেয়ার)-এর নেতৃত্বে চালানো হয়েছিল।

এই সমীক্ষায় উল্লেখিত হয়েছে, যে কনটেন্ট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মাধ্যমে পড়ুয়ারা দেখে, তা তাদের মতামত ও আচরণে প্রভাব ফেলে। পড়ুয়ারা স্বীকার করেছে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেখা ওইসব কনটেন্ট তাদের মতামতে ও আচরণে প্রভাব ফেলে। ডা: পারিখ জেনেছেন, তরুণ প্রজন্মের বিশ্বাস ও আচরণগত ব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা ও প্রভাবের ফলে।

ডা: সমীর পারিখ, ডিরেক্টর, মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড বিহেভিওরাল সায়েন্সেস, ফর্টিস হেলথকেয়ার, বলেন, “তরুণদের বিশ্বাস ও আচরণগত ব্যবস্থায় প্রভাবের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এটাও স্মর্তব্য যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়াকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ইস্যুতে সচেতনতা গড়ার এক কার্যকর উপায় বলে মনে করে। আমাদের প্রয়োজন, পারিপার্শ্বিক সামাজিক ইস্যুতে বিকল্প ও সদর্থক বার্তা সৃষ্টিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যে ভূমিকা পালন করছে তার সদ্ব্যবহার করা। সচেতনতা গড়তে, সাহায্য-প্রার্থনায় উৎসাহিত করতে ও একটি সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে এইসব মঞ্চের সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। আমাদের উচিত যুবসমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমরা যে পথ ধরে চলেছি তার মূল্যায়ণ করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবন করা। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতার ক্ষেত্রে এখনও অনেক অনাবিষ্কৃত সম্ভাবনা রয়েছে যা পুরোমাত্রায় ব্যবহার করা উচিত।” 

সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল ১০টি শহরের (যেমন দিল্লি-এনসিআর, মুম্বাই, মোহালি, লুধিয়ানা, জয়পুর, ব্যাঙ্গালোর, লক্ষ্ণৌ, বারাণসী, দেরাদুন ও চেন্নাই) ৪০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে, যারা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছে। এই সমীক্ষার পিছনের ভাবনাটি ছিল বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাসঙ্গিকতা, এর প্রভাব ও কীভাবে এটি তাদের মতামত ও আচরণে প্রভাব ফেলার শক্তি অর্জন করছে,  তা অনুধাবন করা। এই সমীক্ষা তুলে ধরেছে অভিভাবকদের মিডিয়া লিটারেসির প্রয়োজনের প্রতি। সোশ্যাল মিডিয়ার জ্ঞান অভিভাবকদের সাহায্য করবে তাদের সন্তানদের পরিপ্রেক্ষিত আরও ভালভাবে বুঝতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিবাহিত সময় আরও প্রোডাকটিভ ও কনস্ট্রাকটিভ উপায়ে কীভাবে ব্যয় করা যায় তা সন্তানদের বোঝাতে।

সমীক্ষায় প্রাপ্ত মুখ্য বিষয়সমূহ হল

*৯০% পড়ুয়া বিশ্বাস করে বড়দের সচেতন হওয়া উচিত এবং ছোটোদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা কি দেখবে

*৮২% পড়ুয়া স্বীকার করে যে তাদের মতামত ও আচরণ প্রভাবিত হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তারা যেসব কনটেন্ট গ্রহণ করে তা থেকে

*৯৬% পড়ুয়া মনে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্য ভালভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত

*৯৪% শিক্ষার্থীর কাছে সোশ্যাল মিডিয়া হল জনগণ ও তরুণদের মধ্যে সচেতনতা গড়ার মাধ্যম

*৯৩% পড়ুয়া মানে যে সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্যঘটিত সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করতে পারে

৯২% শিক্ষার্থী মনে করে সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সদর্থক চিন্তা প্রসারের একটি ভাল জায়গা। প্রচারে কারপেডিয়াম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *