“ছাত্র ছাত্রীদের উচিত জীবন জুড়ে অবিচ্ছিন্ন শিক্ষার মনোভাব গড়ে তোলা” নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রঃ (ডঃ)সৈকত মৈত্র
নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১২ই জানুয়ারি ২০২০ : রাজ্যের অন্যতম সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে অনুষ্ঠিত হল স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান।২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালের উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের সম্মান জানাতে নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির আগরপাড়া ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর (ডঃ)সৈকত মৈত্র, জে আই এস গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সর্দার তরণজিত সিং,পদ্মশ্রী প্রাপক প্রফেসর (ডঃ)অজয় কুমার রায়, নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যক্ষা শ্রীমতি মৈত্রেয়ী রায় কাঞ্জিলাল, পাটনা আইআইটি–র অধিকর্তা অধ্যাপক (ড.) পুষ্পক ভট্টাচার্য, আইআইটি খড়গপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক (ড.) শ্রীমনকুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার নিধি সিং, সিওই অধ্যাপকঅম্লান চক্রবর্তী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রী সৈকত মৈত্র উপস্থিত ছাত্র ছাত্রী দের উদ্দেশ্যে বলেন, “স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশ করলেই একজন ছাত্র বা ছাত্রীর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না বরং তাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পায়,তারা যে যে বিষয় নিয়ে এতদিন জ্ঞান লাভ করেছে,এখন সময় সেই জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করা। তিনি আরও যোগ করেন, এখন দেশ,রাজ্য আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক দিক থেকে একটা ডামাডোলের মধ্যে রয়েছে, ছাত্র ছাত্রীদের উচিত তাদের এগিয়ে আসা,দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভুমিকা গ্রহণ করা।
সর্দার তরণজিত সিং ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শিক্ষা আগামী প্রজন্মকে প্রভাবিত করে, শিক্ষা আমাদের সমাজকে বদলে দিতে পারে। একজন পড়ুয়া স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করলেই তার সেই শিক্ষা পরিপূর্ণতা পায় না, যতক্ষন না সেই শিক্ষা দেশকে,জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবহৃত হয়’’।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মৈত্রেয়ী রায় কাঞ্জিলাল পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানান। এনআইটি পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান। তাঁরা যাতে ভবিষ্যতে সফল হতে পারেন, সে জন্য প্রার্থনা করেন। তাঁর পরামর্শ, জীবনে কিছু করে দেখাও। যাতে এই প্রতিষ্ঠান এবং সবাই তোমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।
রেজিস্ট্রার নিধি সিং বলেন, ‘স্নাতক মানে পড়ুয়াদের বিদায় বলা। তবে এনআইই–র প্রাক্তনী হিসেবে তাঁরা সব সময় আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান তাঁদের দ্বিতীয় বাড়ি।’ পড়ুয়াদের আরও ভাল লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠান সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
পুরষ্কার প্রাপক ছাত্র ছাত্রীদের শপথ পাঠ করান উপাচার্য প্রফেসর (ডঃ) সৈকত মৈত্র। এদিনের অনুষ্ঠানে বি টেক,এম টেক,এম বি এ, এম সি এ এর মোট ৮৪০ জন পড়ুয়াদের স্মারক প্রদান করা হয়।এদের মধ্যে ৭০১ জন ২০১৯ সালের, ১০০ জন ২০১৮ এবং ৩৯ জন ২০১৭ সালের পড়ুয়াদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। প্রচারে গ্রে ম্যাটার্স।