খবরাখবর

সিইইএএমপিএআই এবং এএমপিএআই মাস্টার্সের প্রবেশিকা ১৮ অক্টোবর

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৯ই অক্টোবর ২০২০ : পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে জেএইএস গ্রুপের পাঁচটি কলেজের সংরক্ষিত আসনে প্রবেশিকা পরীক্ষা সিইই এএমপিএআই এবং এএমপিএআই মাস্টার্সের প্রোকটরড ভিত্তিক অনলাইন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ অক্টোবর। দেশের যেকোনও প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। যেসমস্ত শিক্ষার্থীরা এবছর জেইই মেইন বা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বসতে পারেনি, তারা আরও একটি সুযোগ পাবে ইঞ্জিনারিং কিংবা ফার্মেসি পড়ার ক্ষেত্রে। ফর্ম পূরণ করা যাবে ১৪ অক্টোবর বিকেল ৪টে পর্যন্ত। জেএইএস গ্রুপের তরফে বৃহস্পতিবার পার্ক হোটেলে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত সাত বছর ধরে সিইইএএমপিএআই এবং এএমপিএআই মাস্টার্সের প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেআইএস গ্রুপের পাঁচটি কলেজে যথাক্রমে জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (কল্যাণী), নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আগরপাড়া), গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (সোদপুর), গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (সোদপুর) এবং ডঃ সুধীর চন্দ্র সুর ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (দমদম)-এ। বি টেক এবং বি ফার্মের ৭২২টি আসনের জন্য ১১টি বিষয়, এম টেকের আটটি বিষয় এবং এম ফার্ম, এমবিএ ও এমসিএর ১১৭টি আসনের জন্য তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে। অতিমারি শুরু হওয়ার পর প্রথম কোনও অনলাইন প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে, যার নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইঊনিভার্সিটির উপাচার্য ড: সৈকত মৈত্র।

জেইই মেইন বা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা এ বছর তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য বিহার, ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা, অসম এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যেগুলির যেসব পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসতে পারেনি, এটা তাদের কাছে একটি বাড়তি সুযোগ ফের পরীক্ষায় বসার। এএমপিএআই-এর আহ্বায়ক বিদ্যুৎ মজুমদার বলেন “দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না এবং সেই জন্যই আমরাও পরীক্ষাথীদের সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।” অনলাইন এবং অফলাইন, দু’ভাবেই পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করা যাবে। এ ব্যাপারে বিশদে জানতে ছাত্রছাত্রীদের www.ampai.in ওয়েবসাইট দেখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

এই ঘোষণার সঙ্গে জেআইএস গ্রুপের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে জুন মাসে ঘোষিত “জেআইএস-আইডিয়া-ও-মিটার” প্রকল্পের আওতায় যারা তাদের প্রজেক্টের জন্য বিজয়ী হয়েছিলেন, তাঁরাও তাঁদের প্রাপ্য অঙ্ক পাবেন নিজস্ব প্রজেক্টের জন্য। ‘জেআইএস আইডিয়া-ও-মিটার’ ছিল একটি অনলাইন গণ-অর্থায়ন (ক্রাউডফান্ডিং) প্ল্যাটফর্ম যা কিনা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পূর্ব ভারতে এই প্রথম। যেখানে কোনও ব্যক্তি নিজ উদ্ভাবনী দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলেন যার সঙ্গে ছিল গণ-অর্থায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ।প্রচারে : ক্যান্ডিড কমিউনিকেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *