মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কর্পোরেশনের ৮১ নং ওয়ার্ডের বাজারে দুরত্ব বজায় রাখতে রাস্তায় দাগ দিলেন নীল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৮শে মার্চ ২০২০ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করোনার থাবা থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে প্রতি নিয়ত মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। বারবার তিনি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন এই করোনা ভাইরাসের থেকে মানুষকে বাঁচতে হবে। তাঁর জন্য মানুষকে বাড়িতে অধিকাংশ সময় থকাতে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
মানুষকে সংসারের খাদ্য সামগ্রী যোগাড়ের জন্য বাজারে যেতে হবে, দোকানে যেতে হবে, ওষুধের দোকানে যেতেই হবে কিন্তু সেখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে, যার পরিমাপ ৩ ফুট বা ১ মিটার। কিন্তু মানুষ তারপরও নির্বিকার, এতটাই বেপরোয়া যে সেই নিয়ম বিধিকে উপেক্ষা করে ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে, বাজারে। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাস্তায় নেমে দোকানের সামনে দাগ কেটে দিতে বাধ্য হচ্ছেন যাতে মানুষ সুস্থ্য থাকে। আর সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের ৮১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব তথা রাসবিহারী বিধানসভার ৮১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের পক্ষে পর্যবেক্ষক নীল মালাকার টালিগঞ্জ সারকুলার রোডে ব্রিজের উপর যে অস্থায়ী বাজার বসে সেখানে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ক্রেতাদের জন্য দাগ কেটে দিয়েছেন এবং সবজি ব্যবসায়ীদের সজাগ করে দিয়ে বলেন, এই দাগের মধ্যে দাঁড়িয়ে যেন মানুষ সবজি কেনে। এই সচেতনতা শুধুমাত্র ক্রেতাদের জন্য নয়, এই সচেতনতা তোমাদের জন্য যাতে দুজনেই সুরক্ষিত থাকো।
আমাদের নীল জানান, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে রাস্তায় নেমে বাজারে, দোকানে নিজের হাতে দাগ কেটে দিচ্ছেন সেখানে মানুষেরও সচেতন হওয়া খুবই প্রয়োজন। মানুষ এখনও বুঝতে পারছে না সামনে কি ভয়ংকর দিন আসতে চলেছে। আমরা যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে না রাখি আগামী দিনে এই করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করবে। সারা ভারতে দেখতে পারছো তোমরা কি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। কেরলে সর্বোচ্চ মানুষ আক্রান্ত, এরপর মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৎপরতার জন্য এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম এবং মৃতের সংখ্যাও কম। আমরা যদি নিজেদের একটু সজাগ রাখি ও নিয়ম মাফিক চলি তবে এই রাজ্যটা বাঁচবে, আমরা সুস্থ্য থাকবো। মহামারীর হাত থেকে রেহাই পাবো। মানুষকে এটা বুঝতে হবে এবং আমাদের দায়িত্ব নিয়ে বোঝাতে হবে।