জীবন ঠিক করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২১শে জুলাই ২০২০ : এই অস্থির সময়ের মধ্যেই এক টুকরো হাসির ঝিলিক পড়ুয়াদের মধ্যে। বিশেষ করে যাঁরা এই মরশুমে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল। কোভিড–১৯ এর জন্য চারিদিকে যেরকম দমবন্ধ করা পরিবেশ, তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল পড়ুয়ারাই। কিন্তু জীবনের দু’দুটি গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষার ফল ঠিক এই সময়েই প্রকাশিত হয়েছে। জীবনের পরবর্তী ধাপে পৌঁছে যাওয়ার জন্য মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল যে কতটা গুরুত্বপূর্ন, তা শুধু ছাত্র ছাত্রীরাই উপলব্ধি করতে পারে। এই দুটি পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল, এবার লকডাউনে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির মন্দার মধ্যে এবার কোনদিকে নিজেদের প্রসারিত করবে ছাত্র ছাত্রীরা? জীবন ঠিক করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়। যাঁরা অত্যন্ত ভাল নম্বর পেয়ে দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছে, তাঁদের কথা আলাদা। তাঁরা জীবনের আরও উঁচুতে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে। কিন্তু মধ্য মেধা বা নিম্ন মেধার ছা্ত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পথ এই লকডাউনে কী হবে? তাঁরা কী পরবর্তী জীবনের প্রতিষ্ঠিত পাওয়ার জন্য পুঁথিগত বিদ্যার উপরেই ভরসা করবে না, কারগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরিমুখি পড়াশোনা করবে? বিশেষ করে এই লকডাউনের মধ্যে যখন চারিদিকে চাকরির বাজার শুধু অন্ধকার অন্ধকার। আর এই ভাবনা থেকেই দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহ বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষালয়ে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির প্রচেষ্টা। তবে সবই অন লাইনে। আর কিছুদনি আগে এই লকডাউনের মধ্যেও নিজেদের ছাত্র ছাত্রীদের চাকরির জন্য অন লাইন ক্যাম্পাসিং করিয়ে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। শুরুটা জর্জ টেলিগ্রাফ করেছে, এবার অন্যান্য সংস্থাগুলিও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাওয়ার একটাই কারণ, শিক্ষান্তে অন্তত কাজ না পেয়ে বাড়িতে বসে থাকতে হবে না। কারণ, লকডাউনে অন্য কাজের হাহাকার থাকলেও, টিভি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকণ্ডিশন, ইলেকট্রিশিয়ান, গাডির সার্ভিস ইঞ্জীনার, এই সব কাজের চাহিদা রীতিমত বেড়ে গিয়েছে। আর এরকম বহু প্রয়োজনীয় কোর্স করানো হচ্ছে জর্জ টেলিগ্রাফ সহ অন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। যে কারণে, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই এই কোর্সগুলিতে ভর্তির জন্য সাধারণ ছাত্র ছা্ত্রীদের মধ্যে মারাত্মক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। উচ্চমেধার ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা হাতে গোনা। কিন্তু মধ্য মেধার শিক্ষার্থীদের কী হবে? ঘুরে দেখা গেল, সেই উৎকন্ঠা থেকেই দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এখন অ্যাডমিশনের চাপ আকাশমুখী। ছাত্র ছাত্রীরাও এখন চাকরিমুখী পড়াশোনায় বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিশেষ করে এই লকডাউনে পর্বের শিক্ষা পাওয়ার পর। প্রচারে তুরিয়া কমিউনিকেশন।